লিটনের বিশ্বাস বিরতিতে সতেজ হয়ে ফিরবে টি-টোয়েন্টি দল
একের পর এক সিরিজ, টুর্নামেন্ট। টানা খেলার এই চাপ ক্রিকেটারদের করে ফেলেছে অবসন্ন। যার প্রভাব পড়ছে পারফরম্যান্সেও। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের ধারণা এমনটাই। তিনি বিশ্বাস করেন সামনে কয়েকদিনের বিরতি ক্রিকেটারদের করবে সতেজ। পরের সিরিজে নতুন করে শুরু করে ভালো করবেন সবাই।
এশিয়া কাপের আগে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ব্যস্ততা শুরু। এরপর এশিয়া কাপ খেলে টি-টোয়েন্টি দল দেশে ফিরতে পারেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতেই ছিলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। দেশে ফিরেই নামতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
এশিয়া কাপ ব্যর্থতার পর আফগানদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ালেও ক্যাবিয়ানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ধবল-ধোলাই হয়েছেন লিটনরা। বাংলাদেশের পরের সিরিজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি মাসের শেষ দিকে। তার আগে আইরিশদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
অধিনায়ক লিটন, জাকের আলি, তাসকিন আহমেদরা টেস্টেও আছেন। টি-টোয়েন্টি দলের বাকি বেশিরভাগ পাচ্ছেন বিরতি। এই বিরতিটা তাদের কাজে লাগবে বলে মনে হয় লিটনের, 'আমি সিরিজ শুরুর আগেও বলেছিলাম আমি চাই যে এখান থেকে একটা কঠিন সময় আসুক। আমার মনে হয় তারা সব জায়গা থেকে আমাদের কঠিন সময় দিয়েছে, তারা অনেক ভালো বল করেছে। তাদের ব্যাটিংও খুব ভালো ছিলো। এখানে যারা ক্রিকেট খেলে সবাই প্রমাণিত, অনেকদিন ধরেই খেলে আসছে। মাঝেমাঝে দু'একটা সিরিজ এমন যেতেই পারে। যে খেলোয়াড়রা এখানে খেলেছে তারা দুই-আড়াই মাস ধরে খেলেছে টানা। মাঝে মাঝে বিরতিটাও গুরুত্বপূর্ণ। এখন একটা বিরতি আছে। বিরতির পর সতেজ হয়ে ফিরতে পারবে। এবং আমার মনে হয় ভালো কিছুই হবে।'
লিটন বলেন, ক্রিকেটাররা যখন অনেক বেশি খেলে ফেলেন তখন মন চাইলেও সেরাটা বের হয়ে আসে না তাদের, 'আমরা চাপে পড়েছি, সেখান থেকে বেরুতে পারিনি। অনেক সময় ক্রিকেটাররা অনেক বেশি ক্রিকেট খেলে ফেললে একটা ফ্যাটিগ চলে আসে। অনেক কিছু চেষ্টা করেন দেওয়ার জন্য, অনুকূলে থাকে না। বিরতির পর আবার সতেজ হয়ে শুরু করব।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়ায় ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে হারে ৫ উইকেটে। প্রতি ম্যাচেই দেড়শোর আশেপাশে স্কোরে হয়েছে খেলা। উইকেটে মন্থরতা থাকলেও শেষ ম্যাচে রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে শিশিরের চ্যালেঞ্জ টের পেয়েছে বাংলাদেশ।
এজন্য নিজেদের দুর্ভাগা মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'কিছু জিনিস আমাদের হাতে থাকে না। আবহাওয়া আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। শুধু উইকেট দেখে একটা ধারণা নেওয়া যায়। আমরা যেমন ভেবেছিলাম, তারাও তিনজন বাঁহাতি স্পিনার খেলিয়েছে। মানে তারাও টার্ন আশা করেছে, সেটাই হয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে তেমন শিশির ছিল না, আজ পুরোটা পড়েছে। আমরা যখন ব্যাট করেছি, উইকেট শুকনো ছিল, বল গ্রিপ করছিল ভালোমতো। তারা যখন ব্যাটিংয়ে আসে। তাদের পক্ষে চলে গিয়েছে সবকিছু। তাই কিছু কিছু জিনিস আছে আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।'
পুরো সিরিজে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে জ্বলে না উঠার কারণ হিসেবে উইকেটের ধরণকেও দায় দেন লিটন, 'আপনি যদি দুইশর উইকেটে খেলেন, তাহলে ব্যাটসম্যানরা রান করবে। না করার কোনো কিছু নাই। দুইশর উইকেটে যদি ১৬০ করেন, তাহলে জিততে পারবেন না। তাই আপনি যদি আফগানিস্তান সিরিজের কথা বলেন, আমরা কত করেছি, ১৬০ তাড়া করেছি। আপনাকে যদি উইকেট চাহিদা দেখায় ১৬০ এর মতো। আপনার সব ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইকরেট তখন উঁচুতে থাকবে না। দুই-একজনের থাকবে হয়তো। আপনি যদি এখানেও চট্টগ্রামের কথা বলেন, প্রথম দুই ম্যাচে ছিল ১৬৫ ও ১৫০ রান। তখন দুই-একটা ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইকরেট বেশি থাকবে।'