ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ
দেড়শ রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট, টসের সময় এমনটাই বলেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু অধিনায়কের সেই বিশ্বাসকে ভুল প্রমাণ করলেন তার সতীর্থ ফিল্ডাররা। একের পর এক সহজ ক্যাচ ছেড়ে ম্যাচটাই যেন তুলে দিলেন প্রতিপক্ষের হাতে। ফলাফলও তাই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুক্রবারের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে ১৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রোস্টন চেজের দল।
মাঝারি পুঁজিতে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল শুরুর দিকেই কিছু দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে পারতেন ওপেনার আমির জাঙ্গু, কিন্তু লিটন দাস ও সাইফ হাসানের ভুল বোঝাবুঝিতে স্লিপে সহজ ক্যাচটি হাতছাড়া হয়।
এরপর শেখ মেহেদী হাসান ফেরান ব্র্যান্ডন কিংকে। কিন্তু পঞ্চম ওভারে ফের জাঙ্গুর আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন বদলি ফিল্ডার তাওহিদ হৃদয়, নয় রানে থাকা ব্যাটারটির লোপ্পা ক্যাচটি ধরতে ব্যর্থ হন তিনি। পরে রিশাদ হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে জাঙ্গু করেন ৩৪ রান।
৫২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়লেও সেখান থেকেই দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্টে। দুজনই খেলেন দারুণ দায়িত্বশীল ইনিংস, তুললেন কাটায় কাটায় ফিফটি। অথচ দুজনের ইনিংসই শেষ হতে পারতো অনেক আগেই। ১০ রানে চেজের কঠিন ক্যাচ মিস করেন শরিফুল ইসলাম, আর ২৭ রানে অগাস্টের সহজ ক্যাচ ফেলেন বদলি ফিল্ডার তানজিম সাকিব।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চেজ ও অগাস্টে দুইজনই খেলেন সমান ৫০ রানের ইনিংস। যেখানে অগাস্টে ২৫ বলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। আর চেজ ঠিক উল্টো। ২৯ বলে তিনি মারেন ১টি ছক্কা ও ৫টি চার।
এর আগে ক্যারিবিয়ান ফিল্ডারদের বদান্যতায় এক প্রান্তে লড়াইটা টেনে নিয়েছেন তানজিদ। একাধিক জীবন পেয়ে খেলেছেন ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস, ৬২ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো সেই ইনিংসেই ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়া ছিল নিয়মিত, কেবল সাইফ হাসান কিছুটা সঙ্গ দেন। খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। তানজিদের সঙ্গে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। দলের ১১ ব্যাটার সবাই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও দুই অঙ্ক স্পর্শ কেবল করেছেন এই দুই ব্যাটারই।
তানজিদ তিনবার জীবন পান ১২, ৫৭ ও ৬৬ রানে জেসন হোল্ডার ও রভম্যান পাওয়েলের সৌজন্যে। শেষ পর্যন্ত রোমারিও শেফার্ডের শিকার হন তিনিই। শেষ দিকে আলো কাড়েন সেই শেফার্ডই, তুলে নেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক। নুরুল হাসান সোহান, তানজিদ ও শরিফুল ইসলামকে ফিরিয়ে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন তিনি।