নিজস্ব সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিবেশ ও সুন্দরবনের জন্যে ক্ষতিকর উল্লেখ করে রামপালসহ সব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল এবং সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা ও অন্যান্য বিপজ্জনক পণ্য পরিবহন বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সাম্প্রতিক নির্মিত অন্তত সাতটি সেতুতে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেছে, যা নদীগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক সরকারি প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা বনে দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক তৈরির পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, সংরক্ষিত এই বনে সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের বিষয়টি এখানকার জীব বৈচিত্র্যকে হুমকির ‍মুখে ফেলবে।

গেল বছর বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫০ মিটার ভেঙে ধরলা নদীর পানিতে প্লাবিত হয় কয়েকটি গ্রাম। তৈরি হয় একটি শাখা নদীর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক শ পরিবার। বালুতে ঢেকে যায় কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি।

পদ্মা এবং ইছামতির সংযোগস্থলে নদীর পানির বদলে চোখে পড়বে ইটভাটা, বসতবাড়ি আর দিগন্ত জোড়া ফসলের খেত। একসময় এই নদীতে বজরায় চড়ে কবিগুরু শিলাইদহ থেকে যেতেন শাহজাদপুরের কুঠিবাড়িতে। পাবনার এই অংশে ইছামতির পানির উৎস পদ্মা বেদখলে মৃত প্রায়। যার প্রভাবে স্রোতস্বিনী ইছামতি এখন মরা খাল।

মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশের জীবাশ্ম জ্বালানী খাতে বিনিয়োগ বন্ধে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। আজ শুক্রবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস ও বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি) যৌথভাবে মানববন্ধন করে এই আহ্বান জানায়।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ঠিক দুই দিন আগে জাতীয় সংসদে পেশ করা প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনতি রোধ নিয়ে তেমন কিছু বলা হয়নি।

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার চারটি ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ১০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাকৃতিক বন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভূমি, স্থাপনা ধ্বংস করে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন ও বাগানের নামে প্রাচীর নির্মাণ ও অন্যান্য স্থাপনা তৈরির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গারো সম্প্রদায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল বাজার খালের এক হাজার ৩০০ মিটার অংশ পুনঃখননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

ফরিদপুরে পৌরসভার উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার টিটিসির মোড় এলাকা ও রতন ব্যানার্জি সড়ক এবং রঘুনন্দনপুর হাউজিং সোসাইটিতে ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

ফরিদপুরের দুই উপজেলায় দুটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে দেড় শতাধিক কাঁচা বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৬টার সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসূলপুর ও মেহেরদিয়া এবং পাশের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুতরাহাটি ও গহেরপুর গ্রামের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সাতটি স্থানের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আজ বুধবার সকালে গাবুরা এলাকা ঘুরে এ অবস্থা দেখা যায়।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার কাঁকড়াছড়া পানপুঞ্জিতে বনজ গাছ কাটার হিড়িক চলেছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই কাটা রেহানা চা বাগান কর্তৃপক্ষ গাছগুলো কাটছে। এখানে অন্যান্য গাছের মধ্যে বন্যপ্রাণীর খাবার নানা ফলদ গাছও রয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উন্নয়নের অংশ হিসেবে গাছ কাটা নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। জনমনে প্রশ্ন উঠছে, পশু-পাখি-গাছপালা ধ্বংস করেই কি স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে? পৃথিবীর উন্নত শহরগুলোর মতো প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার উন্নয়ন হচ্ছে না কেন? নগর কর্তৃপক্ষ কিংবা সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আসলেই কতটা প্রকৃতি এবং মানুষের কথা ভেবে করা হচ্ছে?

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গত দুই দিনে তিনটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। তিনটি ডলফিনের শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

বৃদ্ধাশ্রম তৈরির নামে মহামারির মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত এক সংলাপে বক্তারা অভিযোগ করেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনক্রিটের স্থাপনা নির্মাণের আগে আইন অনুযায়ী “নগর উন্নয়ন কমিটি”র মতামত নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি নেওয়া হয়নি। তাছাড়া পাবলিক পার্কের মতো জায়গায় ৫ ভাগের বেশি জায়গায় ইমারত নির্মাণ করা যাবে না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যার পরিমাণ ৩৭ ভাগ।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়া এবং ইউরোপ থেকে বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এসে আমাদের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করছে। এসব পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণে সরকারের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণে পাখি নিধন কমেছে।