প্রায় আড়াই কোটি বছর আগে কানাডায় ছিল শিংবিহীন গণ্ডার

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
1 November 2025, 06:36 AM

প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে ভিন্ন প্রজাতির গণ্ডার বাস করতো। তাদের আকার আধুনিক ভারতীয় গণ্ডারের সমান হলেও কোনো শিং ছিল না। এরা বাস করতো কানাডার সুমেরু অঞ্চলে।

ওইসময় অঞ্চলটি এখনকার সময়ের চেয়ে উষ্ণ ছিল। তবে সেখানে তুষারপাত হতো এবং শীতকালে কয়েক মাস সূর্যের আলো থাকত না।

এই মেরু গণ্ডারের বৈজ্ঞানিক নাম এপিয়াসেরাথেরিয়াম ইটজিলিক। প্রাণিটির জীবাশ্ম পাওয়া গেছে ডেভন দ্বীপে—যা কানাডার সুমেরু দ্বীপপুঞ্জের অংশ এবং স্থায়ীভাবে পারমাফ্রস্টের (হিমায়িত মাটি) ওপর অবস্থিত।

জীবাশ্ম হওয়া গণ্ডারটির প্রায় ৭৫ শতাংশ কঙ্কাল অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ফলে বিজ্ঞানীরা প্রাণীটিকে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

এর অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে হটন ক্রেটারে। এটি পৃথিবীর উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ উল্কাপিণ্ডের ফলে সৃষ্ট গর্ত, প্রায় ১৪ মাইল (২৩ কিলোমিটার) বিস্তৃত।

এই মেরু গণ্ডার মায়োসিন যুগের শুরুর দিকে বাস করত, যখন বহু স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টি হচ্ছিল। এই আবিষ্কারের আগে কোনো গণ্ডার এত উত্তরাঞ্চলে বাস করেছিল বলে বিজ্ঞানীদের জানা ছিল না।

জীবাশ্ম পাওয়া স্থানটি কানাডার উত্তরতম অঞ্চল নুনাভাটে অবস্থিত। এই প্রজাতির গণ্ডার কাঁধ পর্যন্ত প্রায় তিন ফুট (এক মিটার) উঁচু ছিল। আকারে এটি আধুনিক ভারতীয় গণ্ডারের সমান, তবে আধুনিক আফ্রিকান গণ্ডারের চেয়ে ছোট।

কানাডার অটোয়ার কানাডিয়ান মিউজিয়াম অব নেচারের প্যালিওবায়োলজি বিভাগের প্রধান এবং গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ড্যানিয়েল ফ্রেজার জানান, মায়োসিন যুগে ডেভন দ্বীপের জলবায়ু না খুব বেশি ঠান্ডা, না খুব বেশি গরম ছিল। আর বনাঞ্চলে পূর্ণ ছিল এলাকাটা।

গবেষণাটি গত মঙ্গলবার "নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোল্যুশন" জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে নেওয়া।