দলের ভেতর-বাইরের অস্থিরতাই বড় বাধা: বাটলার
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর পূর্ণ দায় নিজের কাঁধেই নিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার। একইসঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিলেন দলীয় কাঠামোর ভেতরে-বাইরে বিদ্যমান অস্থিরতা ও 'বাধা' নিয়েও, যা দলের স্বাভাবিক পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রেস কনফারেন্স রুমে বাটলারের প্রথম বক্তব্যই ছিল পরিষ্কার ও সরাসরি, 'দলের নির্বাচন, ফল ভালো বা খারাপ, সব কিছুর দায় আমার। আমি কোনো অজুহাত দিতে আসিনি। আজ মেয়েরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে, আমি যেভাবে খেলাতে চাই ঠিক সেইভাবেই।'
'আমি জানি কেন দলে এক-দু'জন খেলোয়াড় আজ স্বাভাবিক পারফর্ম করতে পারেনি। এই রুমে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকও জানে, আমি তাদের নাম বলব না,' যোগ করে আরও বলেন বাটলার।
তার ইঙ্গিত স্পষ্ট, দলে মাঠের বাইরেও নজর এড়ানো কিছু ঘটনা ঘটছে, যা খেলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কোচ বলেন, 'যখন আপনার নিজের স্কোয়াডের ভেতরে কিংবা বাইরে কেউ ক্যাম্পে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, তখন মুনকি-সাগরিকার মতো তরুণ খেলোয়াড়দের এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তারা দেশের ভবিষ্যৎ, কিন্তু এভাবে তাদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।'
হাই লাইন ডিফেন্সের ব্যবহার ও গোল খাওয়ার প্রসঙ্গে বাটলারের যুক্তি, 'ডিফেন্সকে দোষ দিচ্ছি না। আমরা আক্রমণাত্মক খেলেছি, এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিতেই হয়। প্রতিপক্ষ নিচে নেমে খেললে ঝুঁকি, পুরস্কারের লড়াই চলতেই থাকে।'
সাবিনা খাতুন ও মাসুরা পারভীনসহ পাঁচ সিনিয়রকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের আগে থেকেই প্রশ্ন ছিল। বাটলার মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, স্কোয়াডে তাদের জন্য জায়গা নেই এবং এ নিয়ে আর প্রশ্ন করতে না।
উদ্বেগজনকভাবে বাটলার বললেন, 'আমি সঠিক কাজ করতে চাই, ভবিষ্যৎ দল গড়তে চাই। কিন্তু যদি আপনারা মনে করেন নতুন কোচ দরকার, তাহলে আমাকে কালই ইংল্যান্ডে ফিরিয়ে দিন। তাতেই যদি সমস্যার সমাধান হয়, নিয়ে আসুন আপনাদের "দুই বন্ধু"কে। তবে আমি যতদিন আছি, দলের ভবিষ্যৎ তরুণদের ওপরই আমার আস্থা। খারাপ মনোভাবের খেলোয়াড়দের সরিয়ে দেব।'