১-২ শতাংশ উন্নতিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন বাটলার
অগ্রগতি বড় কোনো লাফে আসে না, আসে ক্ষুদ্র উন্নতির ধারাবাহিকতায়। এমনটাকি মনে করেন বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ পিটার বাটলার। এমনকি মাত্র এক শতাংশ, দুই শতাংশ উন্নতিও তার কাছে মূল্যবান। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই তিনি সামনে এগোতে চান।
কেইপিজেড-এ টানা ২২ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাটলার বলেন, এই ক্যাম্পই আগামী দুই বছরের সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ধারণ করবে না। তবে এটি ছিল একটি নতুন যাত্রার সূচনা, যেখানে আন্ডার-১৭, আন্ডার-২০ ও সিনিয়র দলের মিশ্রণে মোট ৫৪ জন ফুটবলারকে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
বাটলার বলেন, 'মেয়েরা অসাধারণভাবে কাজ করেছে। এটি তাদের জন্য দুর্দান্ত শেখার সময় ছিল।'
ক্যাম্পে দলের সঙ্গে যোগ দেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ ক্যামেরুন লর্ডও। তাকে 'বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য বড় সংযোজন' আখ্যা দিয়ে বাটলার বলেন, স্বল্প সময়ে হলেও লর্ড দলের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন।
নারী দলকে নিয়ে কোচের মূল দর্শন, দলে প্রতিযোগিতা বজায় রাখা। তার মতে, এখন আর কপি-পেস্টের মতো দলে জায়গা পাওয়া যায় না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পারফরম্যান্সের মান বাড়াতে হবে সবাইকে। শুধু খেলোয়াড় নয়, টেকনিক্যাল টিম, এমনকি বিএফএফ-এর ভেতরের লোকজনকেও। ১% বা ২% উন্নতিও সঠিক দিকের ধাপ।'
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে পরিষ্কার ব্যবধানের হারের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। জানান, ফিটনেসে পিছিয়ে থাকার কারণে এমন ফল হয়েছে। তবে গত তিন সপ্তাহে সেই ঘাটতি পূরণের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
বাটলার বলেন, 'আমরা অজুহাত দিই না। বাস্তবতা হলো আমাদের ফিটনেস, সুবিধা-সুবিধা এখনো অনেক পিছিয়ে। কিন্তু আমি ইতিবাচক। প্রতিদিনই আমরা শিখছি।'
শেখার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, 'হোক তা অর্ধ শতাংশ, এক শতাংশ বা দুই শতাংশ, উন্নতির প্রতিটি ধাপ মূল্যবান। বড় উন্নতি একবারে পাওয়া যায় না। আমরা বাস্তববাদী। যত দিন মেয়েরা শিখবে, তত দিন এগোবে।'