বাজার থেকে কিটক্যাট চকলেটের লট অপসারণের নির্দেশ
আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে নেসলে বাংলাদেশের কিটক্যাটের একটি লট বাজার থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত-২ এর বিশেষ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথী এ আদেশ দেন।
আদালতের একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আবেদনে কামরুল হাসান জানান, নেসলে বাংলাদেশের কিটক্যাট চকলেটটি একটি অনিবন্ধিত, অননুমোদিত, ছাড়পত্রবিহীন ও মানহীন পণ্য, যা অনিরাপদ, ভেজাল এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাচ নম্বর ৪৪৩৯৯১৩৯ ও উৎপাদন কোড ৬২৯৪০০৩৫৩৯০৫৪ উল্লেখ করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা, ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্য ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নেসলে বাংলাদেশকে কিটক্যাট চকলেট বাজার থেকে প্রত্যাহার ও তা ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ও ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত নেসলে কিটক্যাট চকলেটের আমদানি, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করার আদেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে।
গত ২৩ নভেম্বর খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩- এর ২৬, ৩১, ৩৮ ও ৩৯ ধারায় নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিবাল আবে বিক্রমা ও একই প্রতিষ্ঠানের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রিয়াসাদ জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ওইদিনই আদালত তাদের দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মামলাটিতে দিবাল ও রিয়াসাদকে আট সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেসলে বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব ও লিগ্যাল, রেগুলেটরি অ্যান্ড সায়েন্টিফিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক দেবব্রত রায় চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলাম এবং আমাদের উত্থাপিত প্রাথমিক যুক্তির ভিত্তিতে মামলাটি জামিনের জন্য গৃহীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতও জামিন বহাল রেখেছেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করেছেন। এতে আমরা সন্তুষ্ট।
দেবব্রত আরও বলেন, নির্দিষ্ট লটের পণ্যের ইনভয়েসিং–সংক্রান্ত কোনো বিশেষ শর্ত আছে কি না, সে বিষয়ে আদেশের প্রত্যয়িত কপি আমরা এখনও পাইনি। সেটি না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।
'নেসলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রয়েছে এবং যথাসময়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রতিকার গ্রহণ করা হবে', বলেন তিনি।
দেবব্রত আরও বলেন, সরকারিভাবে আমদানি করা পণ্যসহ আমাদের সব পণ্যের মান ও বিশুদ্ধতা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। এই পণ্যের বিষয়ে বিসিএসআইআর থেকে আমাদের পক্ষে যাওয়া পরীক্ষার প্রতিবেদন রয়েছে।