গুগল সার্চে কোহলিকে ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে যা বললেন সূর্যবংশী
অসাধারণ প্রতিভাবান ১৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশীর প্রতি আগ্রহ তুঙ্গে। এর ফলস্বরূপ, তিনি একটি জায়গায় বিরাট কোহলির মতো ব্যাটিং কিংবদন্তিকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন। কারণ, ২০২৫ সালে ভারতীয়দের মধ্যে গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে সূর্যবংশীকে।
গতকাল শুক্রবারও দুবাইতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে তাণ্ডব চালান বাঁহাতি ব্যাটার সূর্যবংশী। ওপেনিংয়ে নেমে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে মাত্র ৫৬ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। সেখানেই থেমে থাকেননি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪টি ছক্কা ও নয়টি চারে ৯৫ বলে ১৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।
ম্যাচসেরা হওয়া সূর্যবংশীর কল্যাণে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রান তোলে ভারত, যা যুব ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানের বেশি করতে পারেনি আরব আমিরাত। ফলে ২৩৪ রানের বিশাল জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করে 'এ' গ্রুপে থাকা ভারতীয়রা।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সূর্যবংশীকে জানানো হয় যে, গুগল সার্চের ক্ষেত্রে তিনি কোহলিকে টপকে শীর্ষে উঠে গেছেন। তবে এই টিনএজ তারকা জানান, ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনো বিষয় তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, 'আমি এই সব বিষয়ে মনোযোগ দিই না। আমি কেবল আমার খেলার দিকেই মনোযোগ রাখি। হ্যাঁ, এই ধরনের খবর আমার কানে আসে এবং শুনে ভালোও লাগে। আমি তা দেখি, ভালো অনুভব করি এবং তারপর এগিয়ে যাই। এইটুকুই।'
১৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে আরেকটি নতুন কীর্তি গড়েন সূর্যবংশী। যুব ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এখন তার দখলে। আগের কীর্তিটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল হিলের। তিনি ২০০৮ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষে পেনাংয়ে ৭১ বলে ১২৪ রান করার পথে মেরেছিলেন ১২টি ছক্কা। ১৭ বছর পর সেই কীর্তি ভেঙে নিজের করে নেন সূর্যবংশী।
অল্পের জন্য আরও দুটি রেকর্ড হয়নি এই অমিত প্রতিভাবান ক্রিকেটারের। একটি অবশ্য তারই দখলে— যুব ওয়ানডের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি। গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৩ রান করার পথে শতক ছুঁয়েছিলেন ৫২ বলে। সেদিন ৭৮ বল মোকাবিলায় তিনি মেরেছিলেন ১৩টি চার ও ১০টি ছক্কা।
ভারতের হয়ে যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড আম্বাতি রায়ডুর দখলে, যা টিকে আছে ২০০২ সাল থেকে। তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১১৪ বলে ১৭৭ রানের ইনিংস। তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জাগালেও খুব কাছে গিয়ে পারেননি সূর্যবংশী। বোল্ড হয়ে তিনি যখন মাঠ ছাড়েন, তখনও বাকি ছিল ইনিংসের ১৭ ওভারের বেশি।