ডাফির ঝলকে উইন্ডিজকে বিধ্বস্ত করে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড
ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে যেন ঝড় তুললেন জ্যাকব ডাফি। দারুণ আগ্রাসনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপকে ছিন্নভিন্ন করে দিলেন এই কিউই পেসার। তার ফাইফারে মাত্র তিন দিনের মধ্যেই নয় উইকেটের সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেন সিমার ডাফি। তার আগুনে বোলিংয়ে তৃতীয় দিনের লাঞ্চের পর মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫৬ রান।
ডেভন কনওয়ে (২৮*) ও কেন উইলিয়ামসন (১৬*) শান্তভাবে পথচলা শেষ করে টি-টাইমের আগেই নিউজিল্যান্ডকে এনে দেন দাপুটে জয়। ৩৮ রানের খরচায় ডাফি নেন ৫ উইকেট। ডেবিউ করা মাইকেল রে নেন ৩টি। ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৫ করেন কেভেম হজ।
ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার পর এই জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। অভিজ্ঞতা হীন বোলিং ইউনিটের এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি অধিনায়ক টম লাথাম।
তিনি বলেন, 'দলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলেও ছেলেরা দুর্দান্তভাবে লড়াই করেছে। ব্যাটিংটা যদিও সেরা হয়নি, কিন্তু বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্স আমাদের খেলায় এগিয়ে দিয়েছে।'
ডাফির মতো জ্যাক ফকসও খেলছিলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচ, ব্লেয়ার টিকনার ছিলেন চতুর্থ টেস্টে, আর রে ছিলেন অভিষেকে।
তৃতীয় দিনের শুরু ২ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় তারা। লাঞ্চের আগেই স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯৮/৬। প্রথম টেস্টের মতো কোনো লড়াই দেখা যায়নি তাদের কাছ থেকে।
লাঞ্চের পর মাত্র ৯.২ ওভার টিকেছিল ক্যারিবীয়দের শেষ চার উইকেট। জাস্টিন গ্রিভসের (২৫) এলবিডব্লিউ দিয়ে ধসের শুরু, যা রিভিউ করে নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় হতাশ অধিনায়ক রস্টন চেজ বলেন, 'খুবই হতাশাজনক। ভালো অবস্থানে ছিলাম। বলার মতো রান তুলতে পারিনি, ব্যাটাররা দায়িত্ব নিতে পারেনি।'
ব্র্যান্ডন কিং ও কেভেম হজ দিনের শুরুতে প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দিলেও দ্রুত পতন ঘটে কিংয়ের-মাইকেল ব্রেসওয়েলের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। এর পরপরই শাই হোপ ও চেজকে ফেরান রে ও ডাফি। হজ ধৈর্য ধরে ৩৫ করলেও অবশেষে মিডউইকেটে উইল ইয়াংয়ের অসাধারণ ডাইভিং ক্যাচে তিনি আউট হন।
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার, মাউন্ট মঙ্গানুইতে।