প্রথমবার রিটায়ার্ড আউটের অভিজ্ঞতা পেলেন সাকিব
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে সাকিব আল হাসানের। এবার প্রথমবারের মতো রিটায়ার্ড আউটের স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি অলরাউন্ডার— এমআই এমিরেটসের হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে তার অভিষেক ম্যাচে।
রোববার শারজাহ ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে এমিরেটস। পাঁচে নেমে সাকিব দুটি চারের সাহায্যে ১২ বলে ১৬ রান করার পর তাকে তুলে নেওয়া হয়। শুরুতে সংশয় তৈরি হলেও পরে বোঝা যায় তিনি রিটায়ার্ড আউট। সাকিব যখন মাঠ ছেড়ে চলে যান, তখন এমিরেটসের সংগ্রহ ছিল ১৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৯ রান। বাকি চার ওভারে আরও ৪ উইকেট হারালেও দলটি আগ্রাসন চালিয়ে তোলে ৫৬ রান।
সিদ্ধান্তটি ছিল মূলত কৌশলগত। রানের চাকায় আরও দম দিতেই ৩৮ বছর বয়সী সাকিবকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। ইনিংসের শেষভাগে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে নামেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। তিনি টিকতে না পারলেও পরে ঝড় তোলে এমিরেটস। রোমারিও শেফার্ড অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে। মাত্র ১০ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন একটি চার ও চারটি ছক্কা। তাজিন্দর সিং ৮ বলে দুটি ছক্কায় করেন ১৭ রান।
ব্যাট হাতে অমন অভিজ্ঞতার পর বল হাতেও সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। দুই ওভারে ২৭ রান খরচ করে থাকেন উইকেটশূন্য। তিনি হজম করেন তিনটি ছক্কা। পারেননি শারজাহর ব্যাটারদের কোনো ডট বলও খেলাতে।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রিটায়ার্ড আউট এখন আর চোখ কপালে তোলা কোনো ব্যাপার নয়, চলতি বছর ২৬তম ও সব মিলিয়ে ৬১তম ঘটনা এটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায়ই এমনটা ঘটছে। ২০২২ সালের আগে নজির ছিল মাত্র তিনটি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে রিটায়ার্ড আউটের অভিজ্ঞতা হয়েছে সাকিবের। এতদিন এই তালিকায় ছিল শুধু সানজামুল ইসলামের নাম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে কোনো বল খেলার আগেই তাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর ম্যাচটি শেষমেশ ৪ রানে জিতেছে এমিরেটস। তাদের ৮ উইকেটে ১৮৫ রানের জবাবে ওয়ারিয়র্জ আটকে যায় ৭ উইকেটে ১৮১ রানে। তাই বিফলে যায় টম কোহলার-ক্যাডমোরের ৪২ বলে ৫১ ও সিকান্দার রাজার ৩৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। এমিরেটসের পক্ষে দুটি করে শিকার ধরেন আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর ও নাভিন উল হক।