অ্যাশেজের আগে আরও এক বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

By স্পোর্টস ডেস্ক
15 November 2025, 05:43 AM

ডান হ্যামস্ট্রিং-এর চোটের বিষয়টি দ্বিতীয় দফার স্ক্যানে নিশ্চিত হওয়ায় ছিটকে গেছেন জশ হ্যাজলউড। পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে খেলতে পারছেন না তিনি। এতে পেস আক্রমণের আরও এক ভরসাকে হারানোর ধাক্কা খেল স্বাগতিকরা। 

এর আগে চোটে পড়ে ছিটকে যান শন অ্যাবট এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এ অবস্থায় ব্রেন্ডন ডগেটের টেস্ট অভিষেক প্রায় নিশ্চিত হয়ে উঠছে।

হ্যাজলউড ও অ্যাবট—দু'জনই—এই সপ্তাহের শুরুতে এমসিজিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিং চোট পেয়েছেন (অ্যাবট বাম হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান)। ফলে মাইকেল নিসারকে দলে ডাকা হয়েছে কাভার হিসেবে।

প্রথম স্ক্যানেই অ্যাবট ছিটকে গেলেও হ্যাজলউডকে তখন মাংসপেশিতে তেমন বড় সমস্যা নেই বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল, এমনকি কামিন্স ও নিউ সাউথ ওয়েলস অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও ইতিবাচক আভাস দেন।

তবে আজকের ফলো-আপ ইমেজিং চোটটাই নিশ্চিত করেছে হ্যাজেলউডের ছিটকে যাওয়া, 'প্রাথমিক স্ক্যান অনেকসময় নিম্নমাত্রার পেশির চোটকে খাটো করে দেখায়।'

এটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় ধাক্কা, বিশেষ করে এমন দিনে যখন ইংল্যান্ড জানিয়েছে তাদের তারকা পেসার মার্ক উড বাম হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

হ্যাজলউড ও অ্যাবট—দু'জনেই—পার্থে দলের সঙ্গে যাচ্ছেন না। তবে কামিন্স যাবেন।

নিসার দুইটি টেস্ট খেলেছেন—২০২১ সালে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। তবে বাউন্সি পার্থ স্টেডিয়ামের উইকেট বিবেচনায় সিরিজ ওপেনারে ডগেটই বেশি সম্ভাব্য পছন্দ।

অজি স্কোয়াডে আরও রয়েছেন মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড এবং স্পিনার নাথান লায়ন।

ব্যাক সার্জারির পর ধীরে ধীরে বোলিং লোড বাড়ানো ক্যামেরন গ্রিনের ভূমিকা তার হোম টেস্টে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

হ্যাজলউডের ইনজুরি নির্বাচকদের আরেকটি ভাবনায় ফেলতে পারে—একাদশে গ্রিন ও বর্তমান অলরাউন্ডার বো ওয়েবস্টার দু'জনকে রাখলে সম্ভবত মার্নাস লাবুশেনকে ওপেন করাতে হতে পারে।
তবে পার্থে স্বাগতিকদের দুই অভিষিক্ত দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ বেড়েছে, কারণ স্কোয়াডে রয়েছেন অনভিষিক্ত ওপেনার জেক ওয়েদারাল্ডও।

সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুতগতির আউট-সুইংয়ে শেফিল্ড শিল্ডের অন্য পেসারদের ছাড়িয়ে গেছেন ডগেট—শেষ ১১ ম্যাচে তার শিকার ৪৬ উইকেট, গড় ২১.৪৭।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়াকে গত মৌসুমে শিরোপা জিততেও তিনি বড় ভূমিকা রাখেন—ফাইনালে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে নেন ১১ উইকেট। দলটির কোচ ছিলেন সাবেক টেস্ট পেসার রায়ান হ্যারিস।

অস্ট্রেলিয়া দল (শুধু প্রথম টেস্ট): স্টিভ স্মিথ (অধি.), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেয়ারি, ব্রেন্ডন ডগেট, ক্যামেরন গ্রিন, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, নাথান লায়ন, মাইকেল নিসার, মিচেল স্টার্ক, জেক ওয়েদারাল্ড, বো ওয়েবস্টার।

ইংল্যান্ড দল: বেন স্টোকস (অধি.), হ্যারি ব্রুক (সহঅধি.), জোফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, জেকব বেথেল, ব্রাইডন কার্স, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, উইল জ্যাকস, অলি পোপ, ম্যাথিউ পটস, জো রুট, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), জশ টাং, মার্ক উড।

২০২৫-২৬ অ্যাশেজ

প্রথম টেস্ট: ২১–২৫ নভেম্বর, পার্থ স্টেডিয়াম, 
দ্বিতীয় টেস্ট: ৪–৮ ডিসেম্বর, দ্য গ্যাবা, ব্রিসবেন (ডে/নাইট)
তৃতীয় টেস্ট: ১৭–২১ ডিসেম্বর, অ্যাডিলেড ওভাল
চতুর্থ টেস্ট: ২৬–৩০ ডিসেম্বর, এমসিজি, মেলবোর্ন, 
পঞ্চম টেস্ট: ৪–৮ জানুয়ারি, এসসিজি, সিডনি