‘৫০ শতাংশ সদস্য প্রত্যাহারের সরকারি নির্দেশনা পেয়েছে সেনাবাহিনী’

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
5 November 2025, 10:23 AM

মাঠপর্যায় থেকে ৫০ শতাংশ সেনাসদস্য প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের মেস-এ-তে এক সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের (এমওডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেন এসব কথা বলেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে মোতায়েন থাকা সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুর বলেন, 'প্রত্যাহারের বিষয়ে আমরা চিঠি পেয়েছি... এবং সে অনুযায়ী, আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব'।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, বিশ্রাম ও নির্বাচনসংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জন্য বুধবার থেকে এই সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করা হবে। প্রশিক্ষণ ও বিশ্রামের পর তারা ধাপে ধাপে পুনরায় মোতায়েন হবেন এবং বাকি সদস্যদের প্রতিস্থাপন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুর বলেন, গত ১৫ মাস ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছে। এর পাশাপাশি, চুরি যায়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৮১ শতাংশ খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও ৭৩ শতাংশ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোর গ্যাং, ডাকাত ও চাঁদাবাজসহ ১৯ হাজারের বেশি সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছি।

সাম্প্রতিক অভিযানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বেশ কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করি। গত দুই সপ্তাহে আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল টিম শতাধিক হাতে তৈরি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনী আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। বিভিন্ন সিএমএইচে ৫,৩৮৮ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ২৭ জন এখনো ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছেন।

এমওডি পরিচালক বলেন, সেনাবাহিনী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং দেশে কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও কাজ করছে।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশনায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।