‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যায় সন্দেহভাজন ২ জন গ্রেপ্তার
সোমবার গুলিতে নিহত তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুন হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার ডিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে গ্রেপ্তার দুজনের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তিনি জানান, মামলায় অন্য যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তসংশ্লিষ্ট এক ডিবি কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন নিজেদের ইব্রাহিম ও রুবেল নামে পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এখন তথ্য যাচাই করছি। এ মুহূর্তে কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।'
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, হত্যার পরপরই সন্দেহভাজন দুজন দেশের সীমান্ত পাড়ি দিতে সিলেট অঞ্চলে পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট অনুসরণ করে সেদিকে অভিযান চালায়।
গতকাল সোমবার পুরান ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে দুই অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন মামুন।
তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মামুন সেদিন সকালে ২৯ বছর পুরোনো একটি হত্যা মামলার শুনানিতে আদালতে গিয়েছিলেন। শুনানি শেষে তিনি আফতাবনগরে বাসায় ফেরার পথে হামলার শিকার হন।
দ্য ডেইলি স্টারের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গুলি ছোড়া একজনের মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক, গায়ে নীল ফুলহাতা শার্ট। অপরজন সাদা-নীল আধা হাতা শার্ট পরা।
ক্যাপ ও মাস্ক পরা ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে ইব্রাহিম ওরফে লম্বু ইব্রাহিম হিসেবে, আর অন্যজন রুবেল।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তেজগাঁওয়ের বিজি প্রেসের সামনে চালানো মামুনের ওপর আগের হামলারও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইব্রাহিম।
গ্রেপ্তারকৃত দুজনই জিগাতলা এলাকায় সক্রিয় কুখ্যাত চক্র 'চাচা-ভাতিজা গ্যাং' এর সদস্য। এ চক্রে আরও ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।