করতোয়া ভরাট: টিএমএসএসের বিরুদ্ধে পাউবোর মামলা

By নিজস্ব সংবাদদাতা, বগুড়া
5 May 2023, 14:50 PM
UPDATED 5 May 2023, 21:18 PM

পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে রাতের আঁধারে করতোয়া নদী ভরাটের অভিযোগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) বিরুদ্ধে মামলা করেছে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম সিদ্দিকী দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানতে চাইলে হাসানুজ্জামান বলেন, 'নির্দেশনা অমান্য করে নদীর পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য টিএমএসএসের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মামলাটি করা হয়েছে।'

করতোয়া ভরাটের খবর পেয়ে গত ২ মে রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ‍নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের ঠেঙ্গামারা নামের জায়গায় টিএমএসএসের নিয়ন্ত্রণাধীন 'মমো ইন' ইকোপার্ক সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট নুরুল ইসলাম টিএমএসএসের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য লিখিত নির্দেশ দেন। পাশাপাশি নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত ৫টি ড্রামট্রাক জব্দ করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পাউবোসহ সদর উপজেলা ভূমি, বগুড়া পৌরসভা, টিএমএসএস ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সার্ভেয়ারদের নিয়ে যৌথভাবে করতোয়া নদী জরিপের কাজ চলছে। এই জরিপ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় নদী ভরাট, খনন বা স্থাপনা নির্মাণ স্থগিত রাখার বিষয়ে গত ২০ এপ্রিল একটি নোটিশ জারি করে পাউবো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু টিএমএসএস কর্তৃপক্ষ সেই নোটিশ অমান্য করে নদী ভরাট করছিল।

এতে আরও বলা হয়, এটি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নদী জরিপ চলমান থাকা অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করতোয়া নদী ভরাট করায় মামলা করা হলো।

গত ২ মের অভিযানে নদী ভরাটের অভিযোগ ও ট্রাক জব্দের বিষয়ে টিএমএসএসের এর নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'গত ২৩ মার্চ এক যৌথ জরিপে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উপজেলা ভূমি অফিস অত্র এলাকায় নদীর সীমানা চূড়ান্ত করে সীমানা পিলার স্থাপন করার পরে বিষয়টি আমি সবাইকে নোটিশের মাধ্যমে অবগত করে মাটি ফেলার কাজ করেছি। নদীর যে অংশে মাটি ফেলা হয়েছে সেটা আমার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গা। জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড চূড়ান্ত জরিপ করে জায়গাটি আমাকে বের করে দিয়েছে।'