রন হক ও স্বজনদের অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত চলবে: চেম্বার বিচারপতি

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
28 December 2022, 11:58 AM
UPDATED 28 December 2022, 21:59 PM

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থপাচারের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রন হক সিকদার ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তদন্তের জন্য যে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট, তা বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি।

হাইকোর্টের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের করা একটি আবেদনের শুনানি করে আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহানউদ্দিন আদেশ দেন।

একইসঙ্গে বিচারপতি বোরহানউদ্দিন আগামী ২ জানুয়ারি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের করা এই আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।

এর আগে হাইকোর্ট এই অভিযোগের তদন্ত করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছিলেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিকদার গ্রুপের পরিচালক রন হক সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে অর্থপাচারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তদন্তের ক্ষেত্রে বিএফআইইউ, সিআইডি ও দুদকের আইনি বাধা আছে।'

তবে ন্যাশনাল ব্যাংকের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হকের ভাষ্য, তার মক্কেলরা অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত নন এবং তাদের সব সমস্যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নিষ্পত্তি করেছে।

এই আইনজীবী আরও বলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীর জনস্বার্থ মামলা হিসাবে দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের ওপর হাইকোর্ট এই আদেশ দিয়েছে, যদিও আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয়।     

আইনজীবী চৌধুরী হাসান মাহমুদ আব্দুল্লাহর দায়ের করা ওই রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট গত ১৩ ডিসেম্বর বিএফআইইউ, সিআইডি ও দুদককে অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্ত করার পাশাপাশি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, সিআইডি ও দুদককে অর্থ পাচারের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা ব্যাখ্যা করতে চেয়ে রুল জারি করেন।

রিট আবেদনকারী চৌধুরী হাসান মাহমুদ আব্দুল্লাহর আইনজীবী মোঃ মুনসুরুল হক চৌধুরী সেদিন (১৩ ডিসেম্বর) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রন হক সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যরা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড থেকে তাদের ব্যালেন্স লিমিটের বাইরে ১১৬ কোটি টাকা খরচ করেছেন।