শত্রুকে ঘায়েল করতে ক্ষেপণাস্ত্রে স্টেলথ ও এআই প্রযুক্তি যুক্ত করবে ইরান
শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষাবলয় ভেদ করতে ক্ষেপণাস্ত্রে স্টেলথ ও এআই প্রযুক্তি যুক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে ইরান। এমনটাই বলেছেন দেশটির বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী (আইআরজিসি) প্রধান।
গতকাল রোববার এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম
তেহরানের ইমাম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিবসে বক্তব্য রাখতে যেয়ে ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কোরের প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ পাকপৌর জানান, 'অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যুদ্ধক্ষেত্রে স্পষ্ট ব্যবধান তৈরি করতে পারে।'
সংঘাতে জয়ী হওয়ার চাবিকাঠি হিসেবে তিনি গোয়েন্দাদের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি ও সরাসরি হামলার কথা উল্লেখ করেন।
জুনে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানান, 'যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা এমন এক শত্রুর মোকাবিলা করেছি, যার হাতে ছিল সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।'
নিহত সেনাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে জেনারেল পাকপৌর উল্লেখ করেন, 'ইরান শুধু ইসরায়েলি আগ্রাসনেরই মোকাবিলা করেনি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইসরায়েলি সক্ষমতার নেপথ্যে থাকা অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধেও কার্যকর লড়াই চালিয়েছে দেশটি।'
পাকপৌর বলেন, 'শত্রুপক্ষ অত্যন্ত জটিল ও সূক্ষ্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সংঘাতকে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে রূপান্তর করা। তারা ভেবেছিল, একইসঙ্গে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলা ও শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যার মাধ্যমে ইরানে চূড়ান্ত গোলযোগ সৃষ্টি হবে।'
তবে এই উদ্যোগ সফল হয়নি। শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে ইরানে অবিলম্বে শৃঙ্খলা ফিরে আসে বলে দাবি করেন পাকপৌর।
আইআরজিসি প্রধান দাবি করেন, বিদেশি শত্রুরা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও জাতীয় সংহতির মুখে পরাজয় বরণ করে এবং যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।
তিনি আরও জানান, 'শত্রু এখন ইরানের সক্ষমতা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা রাখে। তারা জানে, আগামীতে হামলা করলে আরও রুঢ় ও ধ্বংসাত্মক জবাব মিলবে। নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে যাওয়ার আগে তারা এ বিষয়গুলো মাথায় রাখবে।'

