টাইফুন কালমায়েগিতে ফিলিপাইনে ১৪০ জনের মৃত্যু

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
6 November 2025, 03:35 AM
UPDATED 6 November 2025, 09:42 AM

ফিলিপাইনে টাইফুন কালমায়েগিতে অন্তত ১৪০ জনের প্রাণ গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন ১২৭ জন। বৃহস্পতিবার সরকারি পরিসংখ্যানে এমনটি বলা হয়েছে। শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়টি এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
 
সেবু প্রদেশের শহর ও গ্রামগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় গাড়ি, নদীতীরের ঘরবাড়ি, এমনকি বিশাল শিপিং কনটেইনারও ভেসে গেছে।

ন্যাশনাল সিভিল ডিফেন্স অফিস বৃহস্পতিবার ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে সেবু প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের রেকর্ড করা আরও ২৮ জনের মৃত্যু এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। 

সেবু শহরের কাছে লিলোয়ানে বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে অনেক ভবনের ছাদ উড়ে গেছে, আর মানুষ কাদামাটি সরিয়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করছে।

পাশের নেগ্রোস দ্বীপে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। টাইফুনের বৃষ্টিতে কানলাওন আগ্নেয়গিরি থেকে কাদা ধসে ঘরবাড়ি চাপা পড়ে। এছাড়া ত্রাণ মিশনে থাকা সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ে ছয় ক্রু সদস্য প্রাণ হারান।

সেবু শহরের আশেপাশে কালমায়েগির আঘাতের ২৪ ঘণ্টার আগে ১৮ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়, যা মাসিক গড় ১৩ দশমিক ১ সেন্টিমিটারের চেয়ে অনেক বেশি। প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো এই পরিস্থিতিকে "অপ্রত্যাশিত" ও "বিপর্যয়কর" বলে আখ্যা দিয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সাগর উষ্ণ হলে টাইফুন দ্রুত শক্তিশালী হয়, আর উষ্ণ বাতাসে বেশি আর্দ্রতা থাকে, তাই ভারী বৃষ্টি হয়।

সবমিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কালমায়েগি শক্তি বাড়িয়ে পাশ্ববর্তী ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে। এতে সেখানে এক সপ্তাহ ধরে চলা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে টাইফুন ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়বে।