কেন সাদিক খানকে রাষ্ট্রীয় ভোজে চাননি ট্রাম্প?

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
20 September 2025, 13:17 PM
UPDATED 20 September 2025, 19:52 PM

লন্ডনে এসেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাননি তার সম্মানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় শহরটির মেয়র সাদিক খানের সঙ্গে তার দেখা হোক।

গতকাল শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে—রাজা চার্লস ঐতিহাসিক উইন্ডসর ক্যাসেলে সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করেছিলেন।

যুক্তরাজ্য থেকে ফেরার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে সে প্রসঙ্গে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে 'বিশ্বের নিকৃষ্ট মেয়রদের অন্যতম' বলে মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প বলেন, 'আমি তাকে (সাদিক খান) সেখানে আমন্ত্রণ না জানানোর ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলাম।'

মেয়র সাদিক খান সেই রাষ্ট্রীয় ভোজে অংশ নেননি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয় যে, মেয়র সেই ভোজে আমন্ত্রণ পাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি।

ট্রাম্প ও সাদিক খানের বাগযুদ্ধ শুরু হয় মূলত ২০১৯ সালে। সেসময় সাদিক খানকে ট্রাম্প 'হতভাগা' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। জবাবে সাদিক খান মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে উগ্র ডানপন্থি রাজনীতি উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনেন।

সাদিক খানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প অতীতের মতো তার বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য অব্যাহত রাখেন। তিনি অভিবাসন ইস্যুতে সাদিক খানের ভূমিকাকে 'বিপর্যয়কর' বলে অভিহিত করেন।

ট্রাম্প বলেন, 'আমি মনে করি, লন্ডনের মেয়র বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মেয়রদের একজন। আমাদেরও এরকম খারাপ মেয়র আছে। আমি মনে করি, তিনি ভয়ঙ্কর কাজ করেছেন। লন্ডনে অপরাধ আকাশ ছুঁয়েছে।'

'আমি অনুরোধ করেছিলাম তাকে যেন না ডাকা হয়। মনে হয়, তিনি আসতে চেয়েছিলেন। তবে আমি তাকে ভোজসভায় চাইনি,' যোগ করে ট্রাম্প।

সাদিক খানের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে গণমাধ্যমকে জানায়, ট্রাম্পের নীতি হচ্ছে ভয় ও বিভেদ সৃষ্টি করা। এর অংশ হিসেবে তিনি বিখ্যাত লন্ডন শহরকে অবমাননা করছেন।

তাদের ভাষ্য, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে লন্ডনের সাফল্য আছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বড় শহরের তুলনায় উদার, গতিশীল ও নিরাপদ। সে কারণেই রেকর্ড সংখ্যক আমেরিকান বসবাসের জন্য লন্ডনকে বেছে নিচ্ছেন।

গত ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাজ্য সফর করেন। এর প্রতিবাদে হাজারো বিক্ষোভকারী লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে সমবেত হন।