ইরাক-সিরিয়ায় ৩০ মিনিটের অপারেশন, নেপথ্যে মার্কিন বি-১ বোমারু বিমান

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
3 February 2024, 09:48 AM
UPDATED 3 February 2024, 16:47 PM

ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ও ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৮৫টিরও বেশি স্থাপনায় মাত্র ৩০ মিনিটে একযোগে সফল বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরাক সরকারের মুখপাত্র বাসিম আলওয়াদী এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'ইরাকের সার্বভৌমত্বের ওপর নতুন এই আগ্রাসনে ১৬ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।'

হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, গতকালের হামলায় কয়েকটি দূরপাল্লার বি-১ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত কোনো মার্কিন ঘাঁটি থেকে উড়ানো হয়নি, সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। 

আজ শনিবার বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে বি-১ বোমারু বিমানকে 'আমেরিকার দূরপাল্লার বোমারু বাহিনীর মেরুদণ্ড' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এসব বিমানে ১২৫টিরও বেশি নির্ভুল নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করা হয়।

বি-১ বোমারু বিমানের সহায়তা ছাড়াও ইরাক ও সিরিয়ায় হামলায় নির্ভুল নির্দেশিত (গাইডেড) ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনও ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, সামরিক রসদভান্ডার এবং ড্রোন স্টোরেজ ইউনিট।

brahmanbaria_road_accident.jpg
জর্ডানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মরুভূমিতে অবস্থিত মার্কিন টাওয়ার ২২ সেনা ঘাঁটি। ছবি: এএফপি

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি

ইরাক, জর্ডান ও সিরিয়ায় এক ডজনেরও বেশি ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

বিবিসি বলছে, টাওয়ার ২২ নামে জর্ডানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মরুভূমিতে অবস্থিত এমনই এক মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে সর্বশেষ ড্রোন হামলাটি হয়েছে। যে হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের পাশাপাশি আহত হন ৪১ জন। 

এর আগে, পশ্চিম ইরাকের আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা হয়। এসব হামলার জন্য ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের অভিযুক্ত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

বর্তমানে জর্ডানে প্রায় তিন হাজার এবং ইরাকে আড়াই হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছে। অপরদিকে, সিরিয়ায় রয়েছে প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা। যদিও সিরিয়ার সরকার তার দেশে মার্কিন সেনা উপস্থিতির বিরোধিতার পাশাপাশি একে দখলদারিত্ব বলে অভিহিত করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য-জুড়ে আরও অনেক ঘাঁটি রক্ষণাবেক্ষণ করে, যার মধ্যে রয়েছে উপসাগরীয় তিনটি প্রধান বিমান ঘাঁটি এবং বাহরাইনের একটি বন্দর, যা মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড এবং মার্কিন পঞ্চম নৌবহরের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে।