বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন-গভীর ও ব্যস্ততম মেট্রোরেল

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
29 December 2022, 09:05 AM
UPDATED 29 December 2022, 15:24 PM

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। এখন শুধু আগারগাঁও থেকে উত্তরার মধ্যে যাত্রা শুরু করলেও সামনের বছর এর যাত্রার পরিধি আরও বাড়বে। 

বুধবার মেট্রোরেল চলা শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থা প্রবেশ করেছে এক নতুন যুগে। তবে পুরো বিশ্বে এই মেট্রো সিস্টেমের ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরনো। বিশ্বব্যাপী মেট্রো সিস্টেম সম্পর্কে ৫ অজানা তথ্য নিয়ে আজকের আয়োজন -

1_metro_stations_1.jpg

বিশ্বের প্রাচীনতম ভূগর্ভস্থ মেট্রো সিস্টেম লন্ডনে  

১৮৬৩ সালে লন্ডনে বিশ্বের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রো সিস্টেম চালু করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এটি ৭টি স্টেশনের মাধ্যমে সেন্ট্রাল লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে প্যাডিংটন এবং ফারিংডন স্ট্রিটকে সংযুক্ত করেছিল। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় থাকা এই মেট্রো সিস্টেমটি বর্তমানে ৪০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ রেললাইন এবং ২৭০টি স্টেশন নিয়ে একটি বৃহৎ নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে৷

2_london_underground.jpg

নিউইয়র্কের মেট্রোতে রয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্টেশন 

নিউ ইয়র্ক সিটি সাবওয়ে সিস্টেমে রয়েছে ৪২৪টি স্টেশন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্টেশন নিয়ে গড়ে ওঠা মেট্রো সিস্টেম। এ ছাড়া নিউ ইয়র্ক সিটি সাবওয়েতে লাইন বা রুটের সংখ্যা হলো ২৪টি যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। 

3_nyc_subway.jpg

কিয়েভে অবস্থিত গভীরতম মেট্রো স্টেশন 

ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভে ভূপৃষ্ঠের ৩৪৬ ফুট নিচে অবস্থিত বিশ্বের গভীরতম স্টেশন আর্সেনালনা। অনেকগুলো সিঁড়ি এবং তলায় নামার পর স্টেশনে পৌঁছাতে ৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লেগে যায়।

4_arsenalna_kiev.jpg

টোকিওতে অবস্থিত ব্যস্ততম মেট্রো সিস্টেম 

প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এবং বার্ষিক ৩ দশমিক ১৬ বিলিয়ন যাত্রী নিয়ে, জাপানের রাজধানী টোকিওর টোই সাবওয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত মেট্রো সিস্টেম।

6_budapest_metro.jpg

বুদাপেস্টে অবস্থিত  ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত একমাত্র মেট্রো

হাঙ্গেরিতে অবস্থিত বুদাপেস্ট মেট্রো সমগ্র বিশ্বের একমাত্র মেট্রো সিস্টেম যা ইউনেস্কো থেকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্মান অর্জন করেছে। 

১৮৯৬ সালে উদ্বোধন হওয়া এই মেট্রো সিস্টেমটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মেট্রো সিস্টেম।

 

অনুবাদ করেছেন নাফিসা ইসলাম মেঘা