কিশোর কুমার বেঁচে থাকলে আজ তার ৯২তম জন্মদিন হতো

জাহিদ আকবর
জাহিদ আকবর
4 August 2020, 10:23 AM
UPDATED 4 August 2020, 23:51 PM

শিল্পীদের কোনো মৃত্যু হয় না। দেহত্যাগ করলেই তাদের সৃষ্টি বেঁচে থাকে বহু বছর। এমনই একজন স্মরণীয় শিল্পীর আজ জন্মদিন। তার নাম কিশোর কুমার।

খুব আনন্দে, বিরহে, ভালোবাসায় কিশোর কুমারের গান আমাদের অন্য এক অনুভূতির সন্ধান দেয়।

১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট মধ্যপ্রদেশে এক বাঙালি পরিবারে জন্ম নেন কিশোর কুমার। কিশোর ছিল তার ডাক নাম। ভালো নাম আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। ‘বম্বে টকিজ’ ছবিতে দাদা অশোক কুমারের সঙ্গে গান গেয়েছিলেন কিশোর। সেই নামটাই শেষ পর্যন্ত থেকে যায়।

সংগীতে প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও কেএল সায়গলকে নিজের সবচেয়ে বড় আদর্শ মানতেন তিনি। ১৯৪৮ সালে ‘জিদ্দি’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন।

তবে শুধু গান নয়, অভিনেতা হিসেবেও তিনি যে পারদর্শী, তা প্রমাণ করেছিলেন কিশোর কুমার। ‘শরারত’ ও ‘রাগিনী’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার লিপে গান গেয়েছিলেন মহম্মদ রফি।

কিশোর কুমারের বিপরীতে বৈজন্তিমালা, মধুবালা ও সায়রা বানুর মতো অভিনেত্রীরা  কাজ করেছেন।

কিশোর কুমার আট বার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তার গাওয়া গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, উত্তম কুমার, রাজেশ খান্না, সঞ্জীব কুমারসহ আরও অনেকে।

শচীন দেববর্মন, রাহুল দেববর্মন, গুলজার, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, পুলক বন্দ্যোপাধ্য়ায়সহ আরও অনেক সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।

কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী হলেন রুমা গুহঠাকুরতা। ১৯৬০ সালে মধুবালাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ১৯৬৯ সালে মধুবালার মৃত্যু হলে ১৯৭৬ সালে অভিনেত্রী যোগিতা বালিকে কিয়ে করেন। সেই বিয়ে দুই বছর টিকেছিল। সবশেষে লীনা চন্দভারকারকে বিয়ে করেন কিশোর কুমার। আমৃত্যু একসঙ্গে ছিলেন তারা।

১৯৮৭ সালে ১৩ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন এই কিংবদন্তী শিল্পী।