১৬ ছবি প্রস্তুত, করোনায় মলিন ঈদ মুক্তি

জাহিদ আকবর
জাহিদ আকবর
27 July 2020, 09:14 AM
UPDATED 27 July 2020, 15:26 PM

মুক্তির তালিকায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৬টি ছবি। কিন্তু, করোনার কারণে ঈদুল ফিতরের মতো আসন্ন ঈদেও সিনেমা হলগুলো বন্ধ থাকছে বলে হলে মুক্তি পাচ্ছে না কোনো ছবি।

ছবিগুলোর মধ্যে  রয়েছে: ‘বিদ্রোহী’, ‘শান’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘মন দেব মন নেব’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘নীল মুকুট’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’, ‘চল যাই’, ‘নারীর শক্তি’, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’, ‘বান্ধব’, ‘নীল ফড়িং’, ‘জিন’, ‘আমার মা’, ‘পরান’  ও ‘মেকআপ’।

গত ১৮ মার্চ থেকে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, প্রদর্শক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সব সমিতি মিলে সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা দেয়। প্রথমে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকাই ছবি অনেক বছর ধরেই উৎসব-নির্ভর। হল খুলে দেওয়া হলেও যদি দর্শক না আসেন সেই কারণে লোকসান গুণতে হবে প্রযোজক ও হল মালিকদের।

চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘সিনেমার অবস্থা এমনিতেই খুব খারাপ। বছরে ভালো সময় যায় দুই ঈদে। করোনার কারণে হল মালিকদের ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি না।’

নায়ক-প্রযোজক শাকিব খান ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘সিনেমা হল খুললেও দর্শক আসবে কিনা, সেটি সন্দেহের বিষয়। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। সম্মিলিতভাবে আলোচনায় বসলেই সমাধান আসবে। অর্ধেক হল খালি রাখলে নির্দিষ্ট হারে টিকিট মূল্য বাড়ানো যেতে পারে। আসলে এসবই আলোচনার বিষয়।’

মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখারউদ্দীন নওশাদ ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন সিনেমা হল বন্ধ থাকার কারণে সিনেমা হল সংস্কারের বিষয় রয়েছে। আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঝুঁকি নিয়ে ঈদে সিনেমা হল খোলার কোনো অর্থ হয় না। সিনেমা হলে মানুষ আসবে কিনা সেটাও ভাবতে হবে।’

সূত্র ডেইলি স্টারকে জানায়, গতকাল রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রকোপ চলাকালে দেশে বন্যার আঘাত এসেছে। এমন সময় সিনেমা হল খোলা ঠিক হবে না। কারণ করোনা বা বন্যায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সিনেমা চালানো সম্ভব নয়। পাশের দেশ ভারত সিনেমা হল খুলছে না।’

‘চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু ভেবেচিন্তে মনে হচ্ছে এ মুহূর্তে সিনেমা হল চালু করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।’