‘ইলেকশনের সময় যারা বেশি বেশি নামাজ শুরু করেন, তারাই বোধহয় ধর্মকে ব্যবহার করেন’

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
8 December 2025, 15:12 PM

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও জামায়াতে ইসলামী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলের আমির শফিকুর রহমান।

'দেশের স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতি ফিরিয়ে আনতে' এবং 'আইনের শাসন কায়েম করতে' অন্তত আগামী ৫টা বছর এই জাতীয় সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত আমির।

বলেছেন, 'দেশের স্বার্থে এমনকি আল্লাহর যদি ইচ্ছা হয় যে ২০০ আসনেও আমরা বিজয়ী হয়ে যাই, তারপরেও আমরা এটি (জাতীয় সরকার গঠন) করব ইনশাল্লাহ।'

আজ সোমবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতাবাসে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াত আমির। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির আরও বলেন, 'আমরা তাদেরকে (ইইউ প্রতিনিধিদলকে) বলেছি আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা এবং জনগণের ভালোবাসায় আমরা নির্বাচিত হলে সেই ইনক্লুসিভ বাংলাদেশে আমরা গড়ব ইনশাআল্লাহ। আমরা কোনো দলকেই বাদ দেবো না।'

তবে এই সরকারে যারা থাকবেন তাদের কাছে জামায়াত দুটো জিনিস প্রত্যাশা করবে বলে জানান শফিকুর রহমান। বলেন, 'আমরা প্রত্যাশা করব কেউ নিজে দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতিকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেবেন না। নম্বর টু, সকলের জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না। রাজনৈতিকভাবে মিনিমাম এই দুইটা জিনিসের ব্যাপারে যারা একমত হবেন তাদেরকে নিয়ে সরকার গঠন করার জন্য আমরা আগ্রহী।'

সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মকে ব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গেও কথা বলেন জামায়াত আমির। তার ভাষ্য, 'আমরা ধর্ম নিয়েই কাজ করি। আমরা ধর্মকে ব্যবহার করি না। ধর্ম ব্যবহার করলে কে করে সেটা আপনারা ভালো বোঝেন। ইলেকশনের সময় নতুন করে যারা বেশি বেশি নামাজ শুরু করেন, টুপি পরেন, তসবি হাতে নিয়ে ঘুরান ধর্মকে তারাই বোধহয় ব্যবহার করেন।'

এ ছাড়া, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, 'আমরা মনে করি, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত টাইমলাইনের ভেতরেই নির্বাচন হওয়াটা দেশের জন্য একান্ত প্রয়োজন। এর সামান্য কোনো ব্যত্যয় ঘটলে দেশ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবং কারো দ্বারাই দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হোক এটা আমরা চাই না।'