মং রাজা মংপ্রু সাইন ও মং রাজবাড়ির যুদ্ধ

আহমাদ ইশতিয়াক
আহমাদ ইশতিয়াক
9 December 2025, 10:55 AM

মং রাজবংশের সপ্তম রাজা মংপ্রু সাইন মুক্তিযুদ্ধকালে পার্বত্য চট্টগ্রামের অসহায় শরণার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের কাছে দেবদূত হয়ে উঠেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা ও বোমাং রাজপরিবার যেখানে পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, সেখানে মং রাজপরিবার ছিল ব্যতিক্রম। মং রাজা কেবল পক্ষাবলম্বনই করেননি, শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রাজভান্ডার খুলে দিয়েছিলেন। রাজবাড়ীতে স্থাপন করেছিলেন অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র। এমনকি তিনি নিজেও অংশ নিয়েছিলেন রণাঙ্গনের যুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনি স্থাপন করেছিলেন এক বিরল নজির।

মুক্তিযুদ্ধে মং রাজা মংপ্রু সাইন ও মং রাজবাড়ির ভূমিকা শীর্ষক প্রতিবেদনের কাজে চলতি বছরের জুলাই মাসে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের একাধিক উপজেলা সফর করেন এই প্রতিবেদক। এ সময় মং রাজবাড়ির তৎকালীন সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দাসহ ১৫ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। উঠে আসে আড়ালে ঢাকা পড়া মুক্তিযুদ্ধের অসীম এক বীরত্বগাঁথা।

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝামাঝিতে অবস্থান মানিকছড়ি উপজেলা সদর ও মানিকছড়ি বাজারের। বাজারের একপ্রান্তেই মানিকছড়ি রাজবাড়ির অবস্থান। রাজবাড়িতে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়ে মং সার্কেলের রাজবাড়ির মূল ভবন। বর্তমানে মং সার্কেলের রাজকাজকর্ম খাগড়াছড়ি শহর থেকে সম্পাদিত হলেও আগে এই ভবন থেকেই সবকিছু পরিচালিত হতো। ভবনের পাশে নানুমা দেবী স্মৃতি হল। মুক্তিযুদ্ধকালে সেখানে স্থাপন করা হয়েছিল অস্থায়ী হাসপাতাল।

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা, মং রাজবাড়ির প্রবীণ সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর ১' গ্রন্থ সূত্রে জানা যায়, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার পর প্রাণের ভয়ে চট্টগ্রাম শহর ছাড়তে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। প্রথম দিকে বাঙালি সেনারা চট্টগ্রাম শহরে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও একপর্যায়ে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের মুখে তারাও পিছু হটে শহর ছাড়তে বাধ্য হয়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই তখন প্রাণ বাঁচাতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে ভারতের উদ্দেশে পাড়ি জমান।

naanumaa_debii_hl_muktiyuddhkaale_mn_raajbaarrir_ei_bhbnei_haaspaataal_kholaa_hyyechil_.jpg
নানুমা দেবী হল। মুক্তিযুদ্ধকালে মং রাজবাড়ির এই ভবনেই হাসপাতাল খোলা হয়েছিল। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

২৫ মার্চের পরপরই অসহায় শরণার্থী ও বাঙালি সেনাদের পথিমধ্যে আশ্রয় প্রদানের জন্য মং রাজবাড়ি উন্মুক্ত করে দেন রাজা মংপ্রু সাইন। এ সময় আগত হাজারো শরণার্থী মং রাজবাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে। আগত শরণার্থী ও বাঙালি সেনাদের খাবারের জন্য মং রাজবাড়ির উদ্যোগে মানিকছড়িতে চালু করা হয় একাধিক লঙ্গরখানা। রাজবাড়ির ১৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ সময় পুরোপুরি মুক্তিযুদ্ধের কাজে নিযুক্ত করেন রাজা মংপ্রু সাইন।

মার্চ ও এপ্রিল মাসে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ভারতের উদ্দেশে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধারাও মং রাজবাড়িতে সাময়িক আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। তেমনই একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন শফিউদ্দিন। ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, '৭ মার্চের পর থেকে ফটিকছড়ির মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক বাদশাহ আলমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিলেন মংপ্রু সাইন। যুদ্ধের শুরুতে উত্তর চট্টগ্রাম থেকে যত শরণার্থী ভারতে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকে এক রাতের জন্য হলেও মং রাজবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। এমনকি আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তো শুরুতে দিনের পর দিন রাজবাড়িতে থেকেছিলাম।'

খাবার ও আশ্রয়ের পাশাপাশি আশ্রিত শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য মংপ্রু সাইনের স্ত্রী রানী নিহার দেবী চালু করেন অস্থায়ী হাসপাতাল। তৎকালীন মং রাজবাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন ক্রাইঙ্গো খুলতি মারমা। ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'রাজবাড়িতে তখন হাজার হাজার মানুষ। কেউ শরণার্থী, কেউ মুক্তিযোদ্ধা। কেউ খেয়ে ভারতের দিকে রওয়ানা হচ্ছে। কেউ কয়েক দিন থাকছে। একেক বেলায় চার-পাঁচবার করে রান্না হয়েছিল। যেন এক মহাযজ্ঞ চলেছে।'

যুদ্ধের শুরুতেই নিজের অস্ত্রভান্ডারে থাকা ৩৩টি রাইফেল, গুলিসহ বিভিন্ন অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মং রাজা। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াতের জন্য তিনি বিলাসবহুল গাড়িও দিয়ে দিয়েছিলেন। ২৬ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহ মং রাজবাড়ি একাধারে আশ্রয়কেন্দ্র, চিকিৎসাকেন্দ্র ও মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিদের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে মং রাজা ও রাজপরিবারের সদস্যদের রাজবাড়িতে অবস্থান করা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও মুজিবনগর সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় রাজাকে রামগড় হয়ে ভারতে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। ত্রিপুরার রাজপরিবারের সঙ্গে মং রাজার আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় তারাও রাজাকে ত্রিপুরায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়।

mn_raajbaarrir_grhkrmii_kraainggo_khulti_maarmaa.jpg
মং রাজবাড়ির গৃহকর্মী ক্রাইঙ্গো খুলতি মারমা। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

পাকিস্তানি সেনারা যেন কোনোক্রমেই রাজার ওপর হামলা চালাতে না পারে, এ জন্য মুক্তিযোদ্ধারা মানিকছড়ির যোগ্যাছোলায় অবস্থান নেন। ৩০ এপ্রিল রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এইচ টি ইমাম মং রাজার কাছে জরুরি পত্র ও জিপ পাঠিয়ে রামগড়ে যাওয়ার অনুরোধ করলে রাজা ও রাজপরিবারের সদস্যরা রামগড়ের উদ্দেশে রওনা হন। একই দিন মুক্তিবাহিনীর প্রধান কর্নেল এম এ জি ওসমানী রামগড়ে এসে বাঙালি সেনাদের কমপক্ষে আরও দুদিন রামগড় মুক্ত রাখার নির্দেশ দেন।

মং রাজা রামগড়ের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পাকিস্তানি বাহিনী যোগ্যাছোলা বাজারে আক্রমণ চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পাকিস্তানি সেনারা ফটিকছড়ি হয়ে পেকুয়া চা-বাগান ও যোগ্যাছোলা বাজারে আক্রমণ চালিয়ে মানিকছড়িতে প্রবেশ করে। পাকিস্তানিদের সহযোগিতায় রাজাকারেরা মং রাজবাড়িতে ঢুকে ব্যাপক লুটপাট চালানোর পাশাপাশি রাজবাড়ির মূল্যবান ও ঐতিহাসিক সামগ্রী ধ্বংস করে। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি সেনারা রাজবাড়িতে ক্যাম্প স্থাপন করে।

অন্যদিকে রামগড়ের এসডিপিও বাংলোতে দুদিন অবস্থানকালে রাজা মংপ্রু সাইনের সঙ্গে মেজর মীর শওকত আলী ও ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের (পরবর্তীতে ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার) সাক্ষাৎ হয়। এ সময় রাজা স্থানীয় আদিবাসীদের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। ২ মে সীমান্ত অতিক্রম করে সাবরুমে পৌঁছান মংপ্রু সাইন।

সাবরুমে অবস্থানকালে মং রাজা ত্রিপুরার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া আদিবাসী তরুণদের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। রাজার আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক আদিবাসী তরুণ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা কংগা সাইন মারমা ছিলেন তেমনই একজন। ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'শরণার্থী ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে মং রাজা আমাদের যুদ্ধে যোগ দিতে বলেছিলেন। আমাদের দলে আমরা ৪০-৫০ জন আদিবাসী তরুণ তখন যুদ্ধে অংশ নিয়ে কয়েক জায়গায় যুদ্ধ করেছি।'

মংপ্রু সাইনের যুদ্ধে যোগদানের খবর ফলাও করে প্রচার করেছিল বিবিসি সহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। মংপ্রু সাইনকে জীবিতাবস্থায় আটকের জন্য পাকিস্তানি বাহিনী মোটা অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করে। যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানিদের সাহায্যপুষ্ট ছিল ভারতের মিজোরামের বিচ্ছিন্নতাবাদী মিজো বাহিনী। পাকিস্তানিদের নির্দেশে মিজোরা রাজা মংপ্রু সাইনকে হত্যার জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করলেও মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়।

aadibaasii_muktiyoddhaa_ceiuri_mg.jpg
আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা চেইউরি মগ। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

একপর্যায়ে নিরাপত্তার কথা ভেবে সাবরুম থেকে রুপাইছড়িতে চলে যান মংপ্রু সাইন। আগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শুটার হওয়ায় এ সময় রাজা কিছুদিন হরিণা ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেন।

একপর্যায়ে মংপ্রু সাইনকে আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একাত্তরের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন মং রাজা। একই সঙ্গে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকালেই মং রাজা ভারতজুড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যয় নির্বাহের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের অক্টোবর/নভেম্বর মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে একাধিক সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন মংপ্রু সাইন। এর মধ্যে নভেম্বর মাসের শেষ দিকে আখাউড়া যুদ্ধ ছিল অন্যতম। ভারতীয় সেনাবাহিনী মং রাজাকে সম্মানসূচক 'কর্নেল' র‍্যাংক উপাধি প্রদান করে।

যুদ্ধের প্রথম দিকে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারেরা মং রাজবাড়িতে লুটপাট চালালেও, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ডিনামাইট দিয়ে মং রাজবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভারত থেকে মানিকছড়িতে ফিরে এসেছিলেন মং রাজা। পুরো রাজবাড়ি তখন একপ্রকার ধ্বংসস্তূপ। সমস্ত মূল্যবান সামগ্রীই লুটপাট হয়ে গেছে। মং রাজা মংপ্রু সাইনের দৌহিত্র কুমার সুইচিং প্রু চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশ স্বাধীনের পরে আমরা এসে দেখি রাজবাড়ির মধ্যে বলতে গেলে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।' তিনি জানান, লুটপাট হওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল ঐতিহাসিক স্বর্ণের বৌদ্ধমূর্তি, মার্সিডিজ-ফোর্ডসহ তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানার দুর্লভ পাখি, বাদ্যযন্ত্র, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও দামি আসবাবপত্র ইত্যাদি।

aadibaasii_muktiyoddhaa_kngaa_saain_maarmaa_.jpg
আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা কংগা সাইন মারমা। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

সুইচিং প্রু চৌধুরী আরও বলেন, 'রাজপরিবারের কোনো এক সদস্য বলেছিল, যুদ্ধে যাওয়ায় আমরা সবকিছু হারিয়েছি। জবাবে আমার নানা (মং রাজা মংপ্রু সাইন) বললেন, 'যুদ্ধে অনেক কিছু হারিয়েছি ঠিক। প্রয়োজনে আমার প্রাণটাও হয়তো চলে যেত। কিন্তু তার বিনিময়ে তো মাতৃভূমির স্বাধীনতা পেয়েছি! সেটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।'

মুক্তিযুদ্ধে মং রাজার অবদানের বিষয়ে বলতে গিয়ে ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে মং রাজার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। যুদ্ধের শুরুতে রাজবাড়ি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। নিজের ব্যবহৃত গাড়ি, অস্ত্র সবই মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে দিয়েছেন। মং রাজা সমস্ত সম্পদ বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। অথচ চাইলেই তিনি নিরাপদে থাকতে পারতেন। তিনি শত শত আদিবাসী তরুণকে যুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।'