ফ্রান্স থেকে ১০০ রাফাল পাচ্ছে ইউক্রেন
রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে কিয়েভের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে আগামী ১০ বছরে ১০০টি ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান পাবে ইউক্রেন।
আজ সোমবার প্যারিসে একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকারসংবলিত চিঠিতে দুই দেশ স্বাক্ষর করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্যারিস সফরে রয়েছেন। সেখানেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে তিনি এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
রাফাল যুদ্ধবিমান ছাড়াও ইউক্রেন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বারুদ ও ড্রোন পাবে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী।'
এই ঘোষণার পর রাফাল প্রস্তুতকারী দাসোর শেয়ারের দাম প্রায় আট শতাংশ বেড়ে গেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেড়েছে। পাশাপাশি জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে মস্কোর স্থল অভিযানের অগ্রগতির কথাও জানা যাচ্ছে।
এলিসি প্রাসাদ জানিয়েছে, এটি কোনো ক্রয় চুক্তি নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ। প্রকৃত ক্রয় চুক্তি পরে হবে। আরও জানানো হয়েছে, ফরাসি মজুত থেকে নয়, বরং সম্পূর্ণ নতুন সরঞ্জাম হিসেবেই রাফালসহ অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হবে।
এলসিআই টিভিকে মাখোঁ বলেন, '১০০টি রাফাল সংখ্যায় এটি বিশাল। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী পুনর্গঠনে এখন এটিই প্রয়োজন।'
স্বল্পমেয়াদে ড্রোন, ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা প্রদানই তাদের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, দীর্ঘ মেয়াদে শান্তিচুক্তির পর ইউক্রেনকে নতুন কোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ করার মতো সক্ষম করবে তারা।
এরই মধ্যে ৩০টি দেশকে নিয়ে ফ্রান্স ও ব্রিটেন যৌথভাবে একটি জোট গঠনের উদ্যোগ চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। শান্তিচুক্তি হলে ইউক্রেন বা তার পশ্চিম সীমান্তে সেনা ও সরঞ্জাম পাঠাতে ইচ্ছুক তারা।
তবে রাফালের মতো উন্নত যুদ্ধবিমান পরিচালনায় বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। যে কারণে সক্ষমতা বাড়াতে ইউক্রেনের আরও সময় লাগবে।