কালোত্তীর্ণ লাতিন সাহিত্যিক হোর্হে লুইস বোর্হেস
হোর্হে লুইস বোর্হেস সম্পর্কে বিখ্যাত সাহিত্যিক কাব্রেরা ইনফ্রান্তে বলেছিলেন, 'লাতিন আমেরিকায় আপনি একজন সাহিত্যিকও খুঁজে পাবেন না যে কিনা বোর্হেসের প্রভাবে পড়েননি।'
বোর্হেসের অলংকৃত গদ্য, চিন্তার প্রসারতা, সৃজনশীলতা, কল্পজ্ঞানের অভাবনীয় শক্তি স্রেফ বুঁদ করে রাখে পাঠককে। নিয়ে যায় নতুন এক জগতে। যেখানে অতুলনীয় বিশ্লেষণ, পুঙ্খানুপুঙ্খ জীবনাচার, সাহিত্য নিয়ে নিজের স্পষ্টতা বরাবরই প্রকাশ্য। যিনি বরাবরই বলেন 'আমি কোনো দেবদূত নই, বরং আমার জীবন কাটে লিখে, বিশ্লেষণ আর আনন্দ পেয়ে যা আমি বিশ্বাস করি তাই বলতে চাই আমার ভেতরকার বিভ্রান্তি, প্রশ্ন, অবলোকন করা জীবনকে আমি তুলে ধরি। এটি যদি সংশয় হয় তবে নিঃসন্দেহে তা সংশয়ই হবে।'
প্রথিতযশা সাহিত্যিক প্রাবন্ধিক ও বুদ্ধিজীবী আলবার্তো ম্যাঙ্গুয়েল এর বোর্হেস সম্পর্কে বলা কথাটি বললেই তা আরও স্পষ্ট হয়।
'যাই পড়ছি তাই দেখছি ভানে ভরা, রঙচটা। পৃথিবী জুড়ে যতো বিখ্যাত লেখকের লেখা পড়েছি সবটাই ঠুনকো নয়তো স্রেফ রঙ চটানো। কেবল বোর্হেসের লেখায় কোনো ভান নেই, কপটতা নেই। পৃথিবীতে কেবল বোর্হেসকেই নিঃসঙ্কোচে বলা যায় "পৃথিবীর লেখক"।'
আর্জেন্টিনার পালেরমোর আইনজীবী বাবার পরিবারে জন্ম হোর্হে লুইস বোর্হেসের। সালটা ১৮৯৯। বাবা হোর্হে গিইয়ের্মো বোর্হেস ছিলেন একাধারে আইনজীবী ও দার্শনিক। মা আসেবেদো দে বোর্হেস ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক।
হোর্হে গিইয়ের্মো বোর্হেসের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি নাকি ছিল দেখার মতো। দুই কামরার এই লাইব্রেরিটি ছিল ব্যক্তিগত সংগ্রহের অগাধ সম্ভার। ইতিহাস থেকে দর্শন, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, চিত্রকলা থেকে কী ছিল না সেখানে।
হোর্হে লুইস বোর্হেস মাত্র ১১ বছর বয়সেই পড়েছিলেন শেক্সপিয়রের চিঠি, ইংরেজি সাহিত্যের বই।
তাকে একবার এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনার জীবনে সবচেয়ে বড় প্রভাব কীসের? জবাব ছিল, 'যদি আমি আমার জীবনের সবচেয়ে দারুণ ঘটনার কথা বলি তবে তা আমার বাবার লাইব্রেরি। যার মাধ্যমে আমি সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ হয়েছি।'
বোর্হেস লিখেছিলেন, বাবাকে দেখেই আমার লেখার শুরু। মাত্র ৭ বছর বয়সে সাহিত্যচর্চায় হাতেখড়ি হয়েছিল হোর্হে লুইস বোর্হেসের। মজার ব্যাপার হলো তখনো তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু হয়নি। বাড়িতেই বাবা পড়া দেখিয়ে দিতেন। বোর্হেসের প্রথম লেখা ছিল ছোটগল্প 'লা বিসেরা ফাতাল'। যা পরবর্তীতে ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছিল 'দ্য ফাটাল হেলমেট' নামে।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো মাত্র ৯ বছর বয়সেই বোর্হেস অস্কার ওয়াইল্ডের লেখা 'হ্যাপি প্রিন্স' এর স্প্যানিশ অনুবাদ করেছিলেন। যা প্রকাশিত হয়েছিল বুয়েন্স আইরেসের জনপ্রিয় পত্রিকা এল পাইস এ।
বোর্হেসের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার সূচনা হয়েছিল পালেরমোর টমাস স্ট্রিটের এক স্কুলে। তাও আবার ১১ বছর বয়সে। কিন্তু স্কুলে পড়ার চতুর্থ বছরেই লাগলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। বোর্হেস পরিবার আর্জেন্টিনা ছেড়ে চলে গেল ফ্রান্সের প্যারিসে। কিন্তু সেখানে থিতু হলেন না তারা। ওখান থেকে চলে গেলেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে। সেখানেই কলেজ অব জেনেভাতে ভর্তি হলেন বোর্হেস। সেই স্কুলে পড়ানো হতো ফরাসি ভাষায়। অথচ তাদের বাড়িতে সবাই কথা বলতো স্প্যানিশে। তবে নিজের ইংরেজির চর্চাটা বিদায় করেননি বোর্হেস। আয়ত্ব করতেন বাড়িতে বসেই। এছাড়া শিখতে শুরু করলেন জার্মান। সুইজারল্যান্ডের চলতি ভাষা জার্মান বলেই তা দ্রুতই রপ্ত করেছিলেন বোর্হেস। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে হোর্হে লুইস বোর্হেস আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন এক্সপ্রেশনিজমে।
এসময় তিনি বেশ কয়েকজন জার্মান কবির কবিতা অনুবাদ করেছিলেন স্প্যানিশ ভাষায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের বছর পর্যন্ত জেনেভায় ছিলেন হোর্হে লুইস বোর্হেস। এরপর চলে গেলেন স্পেনে সপরিবারে ঘুরতে। স্পেনের বার্সেলোনা, সেভিয়া, মালোর্কা ও মাদ্রিদে প্রায় তিন বছরের মতো কাটিয়েছিলেন বোর্হেস।
এসময় বেশ কিছু ছোট গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লিখেছিলেন বোর্হেস। বন্ধুদের নিয়ে বিখ্যাত 'উলত্রাইসমো' সাহিত্য আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন বোর্হেস। তাদের ভাবনা ছিল সমস্ত কিছুর বাইরে নতুন ধাঁচের সাহিত্য রীতি গড়ে তোলা। স্পেনে কবিতা ও রাজনৈতিক প্রবন্ধ নিয়ে দুটো বই লিখেছিলেন। কাব্যগ্রন্থ 'দ্য রেড রিদমস' ও রাজনৈতিক প্রবন্ধ 'লোস নাইপেস দেল তাউর'। এছাড়া সে বছরের শেষ দিনে গ্রেসিয়া ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল তার লেখা।
১৯২১ সালের মার্চে বোর্হেস ফের চলে এলেন আর্জেন্টিনায়। লিখলেন তার ভ্রমণকালীন সময়ের নানা স্মৃতি, অকপটে যেখানে ভেসে এলো পূর্বাপর সময়, এসেছিল জেনেভায় কাটানো কৈশোর। স্পেনের সমুদ্র প্রান্তর, আর নানা স্মৃতিচারণা। সবমিলিয়ে যেন এক রত্ন খনি উঠে এলো তার কবিতায়। আর্জেন্টিনায় আসার প্রায় দুই বছর পর প্রকাশিত হলো বোর্হেসের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ফের্বোর দে বুয়েন্স আইরেস'। ফেলে আসা উলত্রাইজমকে নতুন ধারায় আর্জেন্টিনার সাহিত্য মহলে ছড়িয়ে দিলেন বোর্হেস। যেখানে দেখা গেল নতুন এক ভাণ্ডার। ততোদিনে নিজের লেখার সাম্রাজ্যে পৌঁছে গেছেন বোর্হেস। পেয়ে গেছেন নিজস্বতা। আর্জেন্টিনায় আসার পর বিশের দশক পুরোটাই ছিল বোর্হেসময়। এই দশ বছরই ছিল বোর্হেসের জীবনের সূবর্ণ সময়। তিনটি কাব্যগ্রন্থ, চারটি প্রবন্ধ সংকলনের জন্ম এই দশকে। নিয়মিত তার কলাম, সাহিত্য সমালোচনা, নিবন্ধ আর প্রবন্ধ বের হয়েছিল নোসোত্রোস, ইনিসিয়াল, লা প্রেন্সা ও ক্রিতেরিও পত্রিকায়।
১৯২১ সালের দিকে বোর্হেসের সম্পাদনায় বের হয়েছিল 'প্রিজম' ম্যাগাজিন। মূলত রাস্তায় লাগানো বিলবোর্ড দেখে মাথায় আইডিয়া এসেহিল বোর্হেসের। এছাড়া 'প্রোয়া' নামের আর একটি ম্যাগাজিন বের করেছিলেন তারা। এটি ছিলো উলত্রাইজম আন্দোলনের অন্যতম বড় দলিল। ১৯২২ সালেই ক্ষান্ত দিয়েছিল প্রিজম ম্যাগাজিন। আর প্রোয়া প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল ১৯২৪ সালে।
১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল বোর্হেসের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'লুনা দে এনফ্রেন্তে'। এই কাব্যগ্রন্থ ও তার প্রথমদিকের জীবনসহ নানা রূপে মোড়া। তবে বোর্হেস আলোচনায় আসেন তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ 'কুয়াদের্নো সান মার্টিন' দিয়ে। যা তাকে নিয়ে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
তখন দুটো সাহিত্যিক মহলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন বোর্হেস। একটি রিকার্ডো গুইরালদেসদের ধারা অন্যটি মার্তিন ফিয়েররো ম্যাগাজিনের ধারা। যদিও প্রথমটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত থাকলেও দ্বিতীয়টি নিয়ে অনুশোচনায় ভুগতেন তিনি। এ সময় বোর্হেস ছদ্মনামে 'ওমব্রে দে লা এসকিনো রোসাদা' নামে একটি ছোট গল্পটি লেখেন। যা ভীষণ সাড়া ফেলেছিল কিন্তু নিজে বলতেন এটি তার তারুণ্যের প্রথম বয়সের হেঁয়ালি সৃষ্টি। ১৯২৭ সালের দিকে প্রথম চোখের সমস্যা দেখা দিলো বোর্হেসের। যার ফলে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত মোট ৮ বার চোখে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। একসময় তো অন্ধই হয়ে গেলেন বোর্হেস।
১৯৩৪ সালে পাবলো নেরুদা ও ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকার সঙ্গে আর্জেন্টিনায় দেখা হয়েছিল বোর্হেসের। সে বছরই দুজন আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরেসে এসেছিলেন। তখন ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা ও পাবলো নেরুদা দুজনেরই প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা। বেশ মাতামাতি হয়েছিল সেবার লোরকা ও নেরুদার সফর নিয়ে। ছিলেন বোর্হেস নিজেও। ১৯৩৩ এবং ১৯৩৪ সালেই মূলত ছোট গল্পকার হিসেবে হোর্হে লুইস বোর্হেসকে চেনা যায়। যেখানে আমরা পাই তার নির্মিত দারুণ সব ছোটগল্প। সেগুলো সবই পত্রিকায় লেখা। বোর্হেসের প্রথম ছোটগল্প সংকলন বের হয় আরও বেশ কয়েক বছর পরে।
এর আগে ১৯৩৭ সালে লাইব্রেরিতে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে চাকরি নিয়েছিলেন বোর্হেস। ১৯৩৮ সালের বড়দিনের আগের দিন সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে পড়ে মাথায় ব্যথা পান তিনি। যা প্রায় তাকে দেড় মাস শয্যাশায়ী করেছিল। কিন্তু তাও যে তার জন্য শাপেবর হয়ে এসেছিল নয়তো আমরা 'দ্য সাউথ' এর মতো অনন্য গল্প কি করে পেতাম। অবশ্য তাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যে ভাটা কেটেছিল তার পূর্বাপর স্মৃতি নিয়ে লেখা 'পিরের মেনার্দ', 'দোন কিহোতে', তলন মতো অসামান্য সব গল্প দিয়ে।
লাইব্রেরিয়ান থাকাকালীন সময়ে তিনি লিখেছিলেন টের্টিয়াস', 'আকবার', 'অর্বিস', এবং 'দ্য লাইব্রেরি অব বাবেল', 'দ্য লটারি ইন ব্যাবিলন', 'ডেথ অ্যান্ড দ্য কম্পাস' এবং দ্য সার্কুলার রুইনস' এর মতো অসামান্য সব গল্প।
একসময় লাইব্রেরির চাকরি ছেড়ে ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক হয়েছিলেন বোর্হেস। সঙ্গী হিসেবে পেলেন আদোলফো বিওই কাসারেস, ওনোরিয়ো বুস্তোস দুমেকের মতো সাহিত্যিকদের।
তবে আর্জেন্টিনার লেখকদের সংগঠন আর্জেন্টাইন সোসাইটি অফ রাইটার্সের দায়িত্ব নেয়ার পড় তিনি চক্ষুশূল হয়ে পড়েছিলেন স্বৈরশাসক হুয়ান পেরনের। তাদের সংগঠন বন্ধ করা হলো। এই সময়টাতে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন বোর্হেস। কিন্তু তার বৃদ্ধ মা জেলে এক মাস বন্দি ছিলেন। ১৯৫৫ সালে পেরনের পতন হলে যেন প্রাণ ফিরে পেলেন বোর্হেস। এরপর তো তাকে করা হয়েছিল ন্যাশনাল লাইব্রেরির ডিরেক্টর। করা হয়েছিলো বুয়েন্স আইরেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। কিন্তু ফের ফিরে এলো তার চোখের সমস্যা। তিনি যখন তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'পোয়েম অব দ্যা গিফটস' লিখছেন তখন প্রায় কিছুই দেখতে পান না। আবার ইংরেজি ধ্রুপদী সাহিত্যের অনুবাদও করছেন তিনি এই অবস্থায়।
১৯৬১ সালে যখন তিনি প্রখ্যাত আইরিশ নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটের সাথে যৌথভাবে পেলেন ফোর্মেন্তোর পুরস্কার। ফোর্মেন্তোর পুরস্কার পাওয়ার বছরই টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। এরপর তো যুক্তরাজ্যের নানা রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন আর বক্তৃতা দিয়েছেন, নিয়েছেন সাহিত্যের ক্লাস। হোর্হে লুইস বোর্হেসের জীবনটা এখানেই শেষ নয়। ১৯৬৭ সালে তার বয়স তখন ৬৮ বছর। সে বছরই এক সময়ের বান্ধবী এলসা আসতেতে মিলানকে করলেন বিয়ে। সে বছরই তাকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত করলো চার্লস এলিয়ট নর্টন চেয়ার অব পোয়েট্রি। একসময় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টর অব লিটারেচারে ভূষিত করলো। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানিত করলো 'অনরিস কাউসা' খেতাবে।
১৯৭১ এ প্রকাশিত হলো তার শেষ গ্রন্থ 'এলোহিও দে লা সোমব্রা'। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন অন্ধত্ব আর মৃত্যুকে এক রেখায়। আবার দেখিয়েছেন কী করে দোর্দণ্ড প্রতাপে বেঁচে থাকার উপাদান খোঁজা যায় জীবনে। তারই পুরস্কার এলো স্প্যানিশ সাহিত্যের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার মিগেল দে সের্বান্তেস পেয়ে। তার প্রথম বিয়ে না টেকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন।
হোর্হে লুইস বোর্হেস এমন একজন সাহিত্যিক যিনি জীবনকে উপভোগ করেছেন রন্ধ্রে রন্ধে। নোবেল পুরস্কারের সৌভাগ্য হয়নি তাকে স্পর্শ করার, অথচ বিংশ শতকে একমাত্র ফ্রানৎস কাফকা বাদ দিলে আর কোনো সাহিত্যিক এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বোর্হেস নিজে যেমন বুঁদ করেছেন পাঠককে তেমনি বারেবারে দ্বন্দ্বে আবির্ভূত করেছেন সাহিত্যিকদেরো। অন্যদিকে বোর্হেস ছিলেন প্রাণ সুধার এককের নাম। তার লেখা যদি একবার পাঠ শুরু করা যায় ইচ্ছে জাগে নতুন করে পুরোদস্তুর চেখে দেখার।
আজ কিংবদন্তি সাহিত্যিক হোর্হে লুইস বোর্হেসের জন্মদিন। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি এই তাকে।
সূত্র:
Jorge Luis Borges/ Harold Bloom
The Lessons of the Master/ Norman Thomas Di Giovanni
Contorno: Literary Engagement in Post-Peronist Argentina/ William H Katra