‘সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন জীবন্ত এক আর্কাইভ’
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন জীবন্ত এক আর্কাইভ। জীবনব্যাপী সাহিত্যে সংস্কৃতি ও গবেষণায় অনন্য অবদান রেখেছেন তিনি।
সৈয়দ আবুল মকসুদের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্য ডেইলি স্টারে 'জীবন ও কীর্তি' শীর্ষক আলোচনায় ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, বলা যায় কলামলেখক, কবি ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী। তার সবচেয়ে বড় পরিচয়, তার মেরুদণ্ডের দৃঢ়তা। তাকে কারো কাছে কখনো মাথা নত করতে কেউ দেখেনি।
স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মত ও পথের সম্পাদক র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, 'শোনা কথায় কান দেওয়ার আমাদের ভেতরে যে একটা প্রবণতা আছে সেটা তার মধ্যে ছিল না। শোনা কথা নিয়ে তিনি চলতেন না। চিন্তার স্বাধীনতা, মানুষের ভাবনার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন।'
আয়োজনে স্বাগত ভাষণ দেন অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। আলোচনায় আরও ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সুভাষ সিংহ রায়, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের সভাপতি আরিফ খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, পরিবেশ আন্দোলনের প্রধান কবির হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাউল শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। আয়োজনটির সঞ্চালনা করেন ইমরান মাহফুজ।
সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে। তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টির অধিক।