স্টেম সেল প্রতিস্থাপনে মার্কিন নারীর ‘এইচআইভি মুক্ত হওয়ার’ দাবি
বিশ্বের প্রথম নারী ও তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মার্কিন নাগরিক এইচআইভি সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, ওই রোগীকে যখন লিউকোমিয়ার চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছিল, তখন এইচআইভি প্রতিরোধী একজনের কাছ থেকে স্টেম সেল নিয়ে তার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
এরপর গত ১৪ মাস ধরে ওই নারী এইচআইভি সংক্রমণমুক্ত আছেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রতিস্থাপন পদ্ধতি নাভিরজ্জুর রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত। যা এইচআইভি আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী হওয়ার বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারে এক মেডিকেল কনফারেন্সে বিষয়টি উত্থাপন করা হয় এবং প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতি এইচআইভির কার্যকরী নিরাময় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে বলা হয়।
ক্যান্সারের চিকিত্সার অংশ হিসেবে ওই রোগীর নাভিরজ্জুর রক্ত প্রতিস্থাপন করা হয় এবং এরপর থেকে তাকে আর এইচআইভি চিকিত্সার অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রাকৃতিকভাবে এইডসপ্রতিরোধী ব্যক্তিদের কাছ থেকে স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হলে গ্রহীতাদের ইমিউন সিস্টেম এইচআইভি প্রতিরোধের বিকাশ ঘটাতে পারে।
বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩৭ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত, যাদের অধিকাংশই সাব-সাহারান আফ্রিকায় বসবাস করেন। তবে এই পদ্ধতিটি এখনই সবার জন্য নিরাময়ের দ্বার খুলে দিচ্ছে না।
এর আগে, ২০০৭ সালে প্রথম স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে এইচআইভি থেকে মুক্তিলাভের সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল, যখন টিমোথি রে ব্রাউন নামের এক রোগী প্রথমবারের মতো এইচআইভি থেকে নিরাময় লাভ করেন। সে সময়ও প্রাকৃতিকভাবে এইডসপ্রতিরোধী একজনের কাছ থেকে তার শরীরে স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছিল।
এরপর একই পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে অ্যাডাম ক্যাস্টিলেজো নামের আরেক রোগী এইচআইভি থেকে মুক্ত হন।