যেমন হতে পারে করোনা-পরবর্তী পৃথিবী

By আখিউজ্জামান মেনন
5 April 2022, 11:07 AM
UPDATED 5 April 2022, 17:36 PM

কেমন হতে পারে করোনাপরবর্তী পৃথিবী—এই ভাবনার উদ্রেক হয়েছে মহামারির শুরু থেকেই। মহামারির শুরু থেকেই যে ধরনের পৃথিবীর কথা ভাবা হচ্ছিল, করোনা সংক্রমণ হ্রাসের পর দেখা গেছে অনেক কিছুই আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। তবে কিছু বিষয়ে পরিবর্তন অবশ্যই আসতে যাচ্ছে, সেটা যে করোনার কারনেই হবে এমনটা না। নিশ্চিতভাবে সেরকম এক পৃথিবীর দিকেই আমরা এগুচ্ছিলাম। করোনাভাইরাস কিছুটা গতি যোগ করেছে সেই যাত্রায়।

প্রথমত, আমরা ইতোমধ্যে যে ভয়ানক প্রযুক্তিগত নজরদারির ভেতর ছিলাম, আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, নিজস্ব সত্তা যতটা বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল; সেই নজরদারি, এমন বিক্রি হওয়ার ঘটনা আরও প্রবল হয়ে উঠবে। 

আগে আমরা কতক্ষণ হাঁটলাম, কোথা থেকে কোথায় গেলাম; এ ধরনের হিসাব রাখতে শখ করে কিংবা প্রয়োজন ভেবে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতাম। সামনের বিশ্বে বাধ্য হয়েই আমাদের বিভিন্ন অ্যাপসকে অনুমতি দিতে হবে নিজেদের নিয়মিত নজরদারির জন্য। 

1.jpg
করোনাকালীন চালু হওয়া কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ। ছবি: সংগৃহীত

বিষয়টা বোঝা যেতে পারে করোনাকালীন সময়ে চালু হওয়া কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ চালু হওয়ার ঘটনা দেখে। এরকম ট্র্যাকিং বহুদিন ধরেই হচ্ছে, তবে হয়তো আমাদের ইচ্ছায় কিংবা আমাদের না জানিয়ে, করোনা যা করে যাবে সেটা হলো এমন ট্র্যাকিংয়ের বাধ্যবাধকতা। 

আগে এমন ট্র্যাকিং নিয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন, গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ উঠত; করোনাপরবর্তী বিশ্বে এসব নৈতিকতা, গোপনীয়তার আলোচনা মুখ থুবড়ে পড়বে। 

নোয়াহ হারারি বহুদিন ধরেই একথা বলছিলেন, যদি মানুষকে এমন ধরনের পরিস্থির মুখে ঠেলে দেওয়া হয় যে, তাকে স্বাস্থ্য নিশ্চয়তা পেতে হলে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে, মানুষ বাধ্য হয়েই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পরিবর্তে স্বাস্থ্য নিশ্চয়তাকে নির্দ্বিধায় বেছে নেবে। যেমনটা এই করোনার সময় দেখা গেল। বিনা প্রশ্নে কন্টাক্ট ট্রেসিং 'সুবিধা' গ্রহণ। 

প্রশ্ন উঠতে পারে, প্রযুক্তি ব্যবহারের মানেই কি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া? 

শোশানা যুবফ তার 'দ্য এইজ অব সার্ভেইল্যান্স ক্যাপিটালিজম' বইয়ে উত্তর দিয়েছেন; উল্লেখ করেছেন গুগল, ফেইসবুক, ইয়াহুর তথ্য বিক্রির ঘটনা। 

বিশ্বের পুঁজিবাদ এখন আর পুরোপুরি এডাম স্মিথ, জন কেইন্স দ্বারা প্রভাবিত ক্ল্যাসিক্যাল বা রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ নয়; বর্তমান সময়ের পুঁজিবাদ নজরদারির পুঁজিবাদ। 

এই পুঁজিবাদ আমাদের চরিত্রকে প্রথমে ডাটায় পরিণত করে তারপর ডাটাকে পণ্যে; তারপর আমাদের কাছেই বিক্রি করা সেই পণ্য আবার আমাদের চরিত্রকে প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তিত করে, যাতে করে আমরা পরবর্তী পণ্য কেনার জন্য প্রস্তুত হই। পূর্ণাঙ্গ আলোচনা পাওয়া যাবে শোশানা যুবফের 'দ্য এইজ অফ সার্ভেইল্যান্স ক্যাপিটালিজম' বইয়ে।

2.jpg
শোশানা যুবফ-এর দ্য এইজ অব সার্ভেইল্যান্স ক্যাপিটালিজম। ছবি: সংগৃহীত

এমন পৃথিবীর দিকেই আমরা ধাবিত হচ্ছিলাম, করোনার কারণে যে গতিটা পেয়েছে সেটা হলো স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা আরও অনেকবেশি নিজেদের তথ্য নজরদারির পুঁজিবাদী ব্যবস্থার হাতে তুলে দিব। খুব শিগগিরই দেখা যাবে বিভিন্ন দেশে রোগীর জন্য চালু থাকা ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ডস নামের 'সেবা' ব্যবহারের বৈশ্বিক বাধ্যগত নির্দেশ। আমাদের তখন প্রেসক্রিপশন হারিয়ে ফেলার ভয় থাকবে না (তবে তা দৈনিক বিক্রি হয়ে যাবে বহু কোম্পানির কাছে)। আমাদের কেইস হিস্ট্রি থাকবে সফটওয়্যারে, সেই হিস্ট্রি বিক্রি হবে বহু ব্যবসায়ীর কাছে। আমাদের কেউ মাইগ্রেনের রোগী থাকলে, সকাল-বিকেল মোবাইলে পেতে থাকব টলফেনামিক এসিডের বিজ্ঞাপন।  

এরকম নজরদারির আপাত চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের দেহের ওপর সম্পূর্ণ নজরদারি কিংবা অন্য শব্দে নিয়ন্ত্রণ। এই লক্ষ্য পূরণের উপায় হচ্ছে মানুষের শরীরে নজরদারির যন্ত্র স্থাপন। আমরা অনেকেই হয়তো গ্লুকোজ মনিটরিং সেন্সরের কথা শুনেছি। এখানেও করোনা যে গতিটা দিয়েছে সেটা হলো নিজেদের স্বাস্থ্য রক্ষায় এমন ব্যবস্থার অবশ্যম্ভাবী প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করা। 

মানুষের শরীর নিয়ন্ত্রণের যে ইচ্ছা, সেটার দিকেই বিশ্ব বিশেষ করে সিলিকন ভ্যালি আগাচ্ছিল। প্রশ্ন ছিল নৈতিকতার, মূল্যবোধের; ভবিষ্যতে করোনার স্মৃতি আমাদের প্রকৃত জ্ঞানের দৈনতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে আর আমরা সে সব প্রশ্নকে আরও বহু দূরে সরিয়ে রাখব।

তৃতীয় বিষয়টা, সিলিকন ভ্যালিকে নিয়ে। সিলিকন ভ্যালি কী সেই বিষয়ে না গিয়ে সিলিকন ভ্যালির প্রধান ব্যক্তিরা যেই লক্ষ্যে এগুচ্ছে, সেটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। 

সিলিকন ভ্যালি বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছে অমরত্ব অর্জনের। সেই লক্ষ্যের প্রাথমিক ধাপে আছে স্টেম সেল থেরাপি অর্থাৎ মানুষের ক্ষতির সম্মুখীন বা বৃদ্ধ হতে বসা অঙ্গ-পতঙ্গের পুনরুৎপাদন বা কোষকে নতুন করে জীবন দেওয়ার পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ প্রচলন। 

maxresdefault.jpg
মাইন্ড কন্ট্রোলড প্রস্থেটিকস। ছবি: সংগৃহীত

এরই সঙ্গে আছে সামগ্রিক সাইবর্গ যুগের সূচনার লক্ষ্য অর্থাৎ নাজুক দৈহিক অঙ্গের যান্ত্রিক প্রতিস্থাপন। কীভাবে তা হবে সেটা বিস্তারিত আলোচনার বিষয়। তবে সামনে থাকা উদাহরণ আনা যেতে পারে- ২০১৫ সালে ডান হাত ছাড়া জন্ম নেওয়া নিকি এশওয়েলের ইংল্যান্ডের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বায়োনিক হাতের ব্যবহার শুরু করা যেমন। 

বায়োনিক হাতের বিষয়টা অপরিচিত মনে হলে ভাবা যেতে পারে দুর্ঘটনায় পা হারানো কারও কাঠের পা ব্যবহার করা। সেই কাঠের কিংবা প্রস্থেটিক পায়ের 'সাইবারনেটিক অর্গানিজম বা সাইবর্গ' যুগে বিবর্তিত রূপ দাঁড়াবে বায়োনিক পা। যাতে যুক্ত হবে যন্ত্রগত নিখুঁত সূক্ষ্মতা আর বহুমুখী ব্যবহার উপযোগিতা। বর্তমানে যেসব বায়োনিক পা সৃষ্টির কথা শোনা যাচ্ছে তাতে যুক্ত করা হচ্ছে পায়ের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য। করোনা এখানেও গতি দিয়েছে। এই যে স্প্যানিশ ফ্লু, ইবোলা, কোভিড-১৯ আক্রান্ত আমাদের ফুসফুসে যান্ত্রিক প্রতিস্থাপনের আকাঙ্ক্ষা। 

প্রশ্ন উঠতে পারে সিলিকন ভ্যালি যদি অমরত্ব অর্জনের পথে এগিয়ে যেতেই থাকে তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা রাখছে না কেন? 

সিলিকন ভ্যালির প্রধান ব্যক্তিদের কাছে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডাটাব্যাংক তৈরি, তাদের জানতে হবে মানুষের জিনোমের শতভাগ তথ্য, যেখানটায় এখন জানা যায় মাত্র ২-৩ শতাংশ তথ্য। তাদের প্রয়োজন যত তাড়াতাড়ি পারা যায় জিনোমের তথ্য সংগ্রহ করা। 

সিলিকন ভ্যালির পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারীর অন্যতম একজন ব্যক্তি হলেন ক্রেইগ ভেন্টার। এই ভদ্রলোক বছরের পর বছর ভাইরোলজি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে; তার প্রতিষ্ঠান গবেষণা করেছে ইবোলা নিয়ে, গবেষণা করছে কোভিড-১৯ নিয়ে। 
 
তিনিসহ কোভিড-১৯ গবেষণায় আরও যাদের নাম শোনা গিয়েছে তাদের অনেকেই সিলিকন ভ্যালির অবিচ্ছেদ্য অংশ; তাদের গবেষণা, বিনিয়োগের অলিখিত চুক্তি হিসেবে কাজ করছে করোনাকেন্দ্রিক সব গবেষণা-তথ্যের মালিকানা অর্জন। 

সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিলিকন ভ্যালির কর্ণধারেরা ভূমিকা রাখছে, কী রাখছেন না কিংবা ভূমিকা রাখার মতো দক্ষতা অর্জনে তারা এখনো কিছুটা পিছিয়ে আছে কি না, নিশ্চিতভাবে বলতে না পারা গেলেও যেটা বলা যায় সেটা হল নিজেদের সুবিশাল ডাটাব্যাংক তৈরির লক্ষ্য অর্জনে যে তারা সুনিপুণভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।  

সাইবর্গ যুগের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হতে পারে আধা যান্ত্রিক অর্ধেক জৈব দেহের অত্যন্ত সামর্থ্যবান মানুষরা শুধুমাত্র নাজুক জৈব দেহের মানুষদের নিম্নশ্রেণির প্রাণী ভাবতে পারে। যেহেতু তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে, অবিশ্বাস্যরকম কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং আরও বহুমুখী উপাদান তাদের বৈশিষ্ট্যতে যুক্ত হবে, তাই এভাবে ভাবাই যায়। 

বিবর্তনের যাত্রায় শুধুমাত্র জৈব দেহের মানুষের তাদের সহযাত্রী অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে করা আচরণকে মাথায় রেখে ভাবনাটা তৈরি করা। হতে পারে যে, আধা যন্ত্রের তারা নিজেদের জৈব মানুষ থেকে আলাদা করতে নোয়াহ হারারির হোমো ডিউস নাম ধারণ করেছে।

সিলিকন ভ্যালির আপাত আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সামগ্রিক একটা পৃথিবী গড়ে তোলা। চতুর্থ বিষয়টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গেই সম্পৃক্ত- অটোমেশন। 

4.jpg
ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বেনেডিক্ট ফ্রে এবং মাইকেল অসবোর্ন 'বেকারত্বের ভবিষৎ' শিরোনামে একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন; যেখানে তারা দাবি করেন ২০৩৩ সালের মধ্যে আমেরিকার ৯৭ ভাগ ক্যাশিয়ার, ৮৯ ভাগ বাসচালক, ৮৮ ভাগ নির্মাণ শ্রমিক চাকরি হারাবে। তাদের জায়গা গ্রহণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। 

শুধু আমেরিকাতেই নয় কিংবা শুধুমাত্র ক্যাশিয়ার, বাসচালক, নির্মাণ শ্রমিকের ভাগ্যেই নয়, বিশ্বের সব দেশের বিক্রয় প্রতিনিধি, ডাক্তার, নার্স, ট্রাকচালক, ব্যাংকারসহ প্রায় সব পেশার মানুষেরাই একই ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে। 

তালিকায় ডাক্তার বা ব্যাংকারের উল্লেখ দেখে অবাক লাগলে একটা তথ্য দেওয়া যেতে পারে- ২০১৬ সালে জাপানের নিকেই হোশি শিনিচি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সর্বমোট জমা পড়া ১ হাজার ৪৫০টি সাহিত্যকর্মের ১১টি ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লেখা। যার ভেতর 'দ্য ডে আ কম্পিউটার রাইটস আ নভেল' নামের ছোট গল্প প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে। 

গল্পের প্রাথমিক কাঠামো মানুষের দ্বারা ঠিক করে দেওয়া হলেও বাকি সবটুকুই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শেষ করে। সেই ছোটগল্পটি শেষ হয়েছে এভাবে- 

'The day a computer wrote a novel. The computer, placing priority on the pursuit of its own joy, stopped working for humans'          

কিংবা দেখা যেতে পারে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ব্যাপক বিস্তার বা জটিল অস্ত্রোপচারে ক্রমাগত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটের ওপর নির্ভশীল হয়ে পড়া। তাহলে হয়তো আর অবাক লাগবে না।          

capture2.jpg

করোনার আক্রমণ এই অটোমেশনের, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যাত্রাকেও দ্রুততা দিবে। স্পর্শহীনতা এবং সামাজিক দূরুত্বের গুরুত্ব বাড়ার দরুন সেই দ্রুততা। দাবির সত্যতা মিলবে যদি আমাদের হংকং বিমানবন্দরে জীবাণু দূরীকরণে, ট্রলি বহনে রোবট ব্যবহারের কিংবা বাংলাদেশে করোনাকালীন সময়ে পোশাক খাতে অটোমেশনের ব্যবহার, সুপারশপে মানুষের পরিবর্তে রোবটকে নিয়োজিত করার খবর চোখে পড়ে। 

পঞ্চমত, করোনাপরবর্তী বিশ্বের অর্থ ব্যবস্থা হয়ে উঠবে শতভাগ ক্রেডিটনির্ভর। বিশ্বের টাকা এমনিতেও সব উধাও হয়ে গিয়েছে (বছর ২ আগে আমেরিকার ক্যাশ-ক্রেডিটের অনুপাত ছিল ২২:৭৮), এবার টাকাকে জাদুঘরে পাঠানোর পালা। 

আবারও, করোনার দরুন এই কয়েক মাসে ভার্চুয়াল লেনদেন বৃদ্ধির তীব্রতা এবং অভ্যস্থতা সঙ্গে স্বাস্থ্য-ভাবনা ও লেনদেনের সুবিধা, পরবর্তী সময়ে মানুষের ক্রেডিট-মুখীতাকে নিশ্চিতভাবেই প্রচণ্ড গতি দেবে। 

ক্রেডিটনির্ভর অর্থব্যবস্থার সুবিধা-অসুবিধা অর্থনীতির দীর্ঘ আলোচনার বিষয়; তবে ক্রেডিটনির্ভর অর্থব্যবস্থার একটা হুমকির দিক যেটা মোটাদাগে বলা যায় সেটা হল অর্থের প্রযুক্তিগত অনিরাপত্তা।       

এ ছাড়া করোনা পরবর্তী বিশ্বে দেখা যাবে 'সমাজতান্ত্রিক' চীনের বৈশ্বিক ক্ষমতা বৃদ্ধি, দেশে দেশে গণতান্ত্রিক (!) স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপ্রধানের আধিক্য, ভার্চুয়াল বাস্তবতায় তৈরি চৈতন্য, আত্মকেন্দ্রিকতা, বিপর্যস্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ, বারংবার প্রাণঘাতী ভাইরাসের আক্রমণ, সর্বগ্রাসী বেসরকারিকরণ, তীব্র আয় বৈষম্যসহ বিভিন্ন নৈরাশ্য জাগানিয়া উপাদানের উপস্থিতি। 

হ্যাপি লিভিং!