মঙ্গলে অগ্নিগিরি!

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
21 December 2021, 07:52 AM

একসময় সেখানেও অগ্ন্যুৎপাত হতো! অগ্নিগিরির গা বেয়ে নেমে আসতো গলিত লাভা! এমন চমকপ্রদ তথ্য পৃথিবীবাসীর কাছে পাঠিয়েছে মঙ্গলচারী রোভার পারসিভিয়ারেন্স।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন'র প্রতিবেদনে বলা হয়, পারসিভিয়ারেন্সের এমন বিস্ময়কর আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের কাছে 'একেবারেই অপ্রত্যাশিত' ছিল।

এর আগে তারা ভেবেছিলেন, লাল গ্রহ থেকে রোভারটি যেসব পাথরের ছবি পাঠিয়েছে যেগুলো হতে পারে পলিমাটির চাঁই।

মঙ্গলের 'জিজেরো ক্র্যাটার' এলাকার প্রাচীন হ্রদ থেকে পাঠানো সেই নমুনা-পাথরের ছবি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতুহলের শেষ ছিল না।

গত এপ্রিলে ওই এলাকার 'কোডিয়াক' পাহাড়ের সমতলীয় চূড়া থেকে সেই ছবিগুলো তোলা হয়।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পারসিভিয়ারেন্স প্রকল্পের বিজ্ঞানী কেন ফারলে গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম এ কারণে যে, ভেবেছিলাম এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো কখনোই মিলবে না।'

পারসিভিয়ারেন্সের যান্ত্রিক হাত যখন পাথরটি ভাঙতে শুরু করে তখনই শুরু হয় বিস্ময়ের পালা। বদলে যায় পূর্ববর্তী সব ধারণা। বিজ্ঞানী ফারলের মতে, পাথরের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা স্ফটিকগুলো জানিয়ে দেয় এর গঠন কাঠামো ও খনিজ উপাদান।

গত বুধবার নিউ ওরলিন্সে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের শরৎকালীন সভায় এই নতুন আবিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত নভেম্বরে 'ব্র্যাক' নামের এ পাথর ভাঙতে শুরু করে রোভারটি। পাথর ভাঙার পর দেখা যায় জলপাই-রঙা স্ফটিক। ভাঙা অংশের আশেপাশে অন্যান্য রঙের স্ফটিকগুলো থেকে জানা যায় লাভার উপস্থিতি।

বিজ্ঞানী ফারলে বলেন, 'এটা খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল। বিষয়টা বুঝতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়। আমার ধারণা, আমরা যে চূড়াটির ছবি দেখছি তা অগ্নিগিরির মূল জ্বালামুখ নয়। মনে হচ্ছে, প্রকৃত জ্বালামুখটি আরও গভীরে।'

পারসিভিয়ারেন্সের সংগ্রহ করা নমুনা-পাথরগুলো আগামী মিশনে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে। তখন সেগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যাবে 'জিজেরো ক্র্যাটার' ও এর নদী থেকে সৃষ্ট বদ্বীপে কখনো প্রাণের উপস্থিতি ছিল কি না।