এনএফটি কী, কেন এত দাম?
চলতি বছর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে নন ফাঞ্জিবল টোকেন বা এনএফটি। আক্ষরিক অর্থে, যে টোকেনে ছত্রাক পড়ে না। মিলিয়ন ডলারের শিল্পকর্মও বিক্রি হচ্ছে এনএফটির মাধ্যমে।
এনএফটি হলো, এক ধরনের ডিজিটাল সম্পত্তি যা একটি ব্লকচেইনে জমা থাকে। নেওয়ার্কে যুক্ত একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে ব্লকচেইন এর লেনদেন ও জমা খরচের হিসাব রাখে। ব্লকচেইনটি এনএফটির বিষয়ে কোন তথ্যের সত্যতা এবং এর মালিকের পরিচয় নিশ্চিত করে।
বেশিরভাগ ডিজিটাল আইটেমগুলো যেখানে অসংখ্যবার পুনরুৎপাদন করা যায়, এনএফটির ক্ষেত্রে বিষয়টি তার উল্টো। প্রতিটা এনএফটির একটি করে ইউনিক ডিজিটাল স্মারক রয়েছে।
সব ধরনের ডিজিটাল আইটেম। যেমন ছবি, ভিডিও, সঙ্গীত, টেক্সট এমন কি টুইট পর্যন্ত এনএফটি হিসেবে বেচা-কেনা করা যেতে পারে।
এনএফটি সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডলারে কেনা হয় এবং ব্লকচেইন লেনদেনের রেকর্ড রাখে। যে কেউ এনএফটি দেখতে পারলেও শুধু ক্রেতাই এর অফিসিয়াল মালিক। এক ধরনের ডিজিটাল মর্যাদার বিষয়।
একটি ছবি বা ভিডিওর এনএফটি কেনার অর্থ এই নয় যে ক্রেতা ওই আইটেমটির মূল বস্তুর কপিরাইট পায়।
বেশ কিছু ডিজিটাল আর্ট বেশ উচ্চমূল্যে বিক্রিও হয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভক্তরা কোন একটি নির্দিষ্ট খেলোয়াড় সম্পর্কি এনএফটি উচ্চমূল্যে সংগ্রহ ও ব্যবসা করতে পারেন।
এনএফটির ব্যাপক ব্যাবহার দেখে অনেকে বিভ্রান্তও হতে পারেন। ভাবতে পারেন, শুধু ডিজিটাল ফর্মেটে অস্তিত্ব রয়েছে এরকম একটি জিনিসের জন্য কেন এত অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। যেটি যে কেউ বিনামূল্যেও দেখতে পারেন। তবে, এর সমর্থকরা একে শিল্প সংগ্রহণের পরবর্তী ধাপ হিসেবে দেখছেন।
গত মার্চ মাসে টুইটার বস জ্যাক ডরসির প্রথম টুইট, 'জাস্ট সেটিং আপ মাই টুইটার' ২ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছি।