রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ করতে পরস্পর সহযোগিতার আশ্বাস বাংলাদেশ-ভারতের
রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে ভারত ও বাংলাদেশ পরস্পর প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সচিব ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এ আশ্বাস দেন।
আর ভারতের পক্ষ থেকে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড (বিএইচইএল) ও বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিষয়ে বাংলাদেশকে এই আশ্বাস দেয়।
আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সঙ্গে মিল রেখে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটটি চলতি বছরের ডিসেম্বরে চালু হবে।
ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ইউনিটটিও সময়মতো বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে আরও বলা হয়েছে, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড (বিএইচইএল) ও বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এ বিষয়ে ভারতের দক্ষ কর্মীদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি, ভিসা অনুমোদন, কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয় ও অগ্রিম আয়কর আরোপের মতো বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছে ভারত। এ ছাড়া, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিএইচইএল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও কর্মীদের টিকাদানের বিষয়েও ভারত বাংলাদেশের কাছে সহযোগিতা আশা করছে।
গত ১৭ জুন অষ্টম উচ্চ-পর্যায়ের মনিটরিং কমিটির বৈঠকের পর আজকের বৈঠকটি আহ্বান করা হয়।
নয়াদিল্লিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজকের বৈঠকে কয়েকটি জটিল বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে, যা চলতি বছরের ডিসেম্বরে রামপাল প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালুর জন্যে সমাধান করা প্রয়োজন।
বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার, ভারী শিল্প বিভাগ, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (সিইএ), এনটিপিসি লিমিটেড বিএইচএল ও বিআইএফপিসিএলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিবৃতিতে ‘পরিবেশ-বান্ধব সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে’র কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গত বছরের মার্চের পর থেকে কোভিড পরিস্থিতির জন্যে রামপাল প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে। উভয় পক্ষ যথাসময়ে প্রকল্পটি শেষ করার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
আজকের বৈঠকে উভয় পক্ষই এ বছরের সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পরবর্তী যৌথ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।