ভাঙ্গারির কারখানায় চিকিৎসা বর্জ্য, ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের টিজি কলোনিতে একটি ভাঙ্গারির কারখানা থেকে ৩ টন মেডিকেল বর্জ্য জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এই ঘটনায় চট্টগ্রাম শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার মালিক জমির উদ্দিন ও ভাঙ্গারির কারখানার মালিক মো. সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানায় মামলা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. শাওন শওকত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল নগরের বন্দর থানার টিজি কলোনিতে ভাঙ্গারির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চিকিৎসা বর্জ্য জব্দ করে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এসব বর্জ্য অনিরাপদ অবস্থায় সেখানে রাখা ছিল। কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই ৩ জন নারী শ্রমিক সেখানে বর্জ্য প্রক্রিয়া করছিলেন।
এই ঘটনা নিয়ে আজ পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শুনানি করা হয়। শুনানিতে ভাঙ্গারির কারখানার মালিক মো. সিদ্দিক ও হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার কর্মকর্তাদের শুনানিতে ডাকা হয়। শুনানি শেষে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়।
শুনানিতে মো. সিদ্দিককে উদ্ধৃত করে এজাহারে বলা হয়, তিনি সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ডাস্টবিন এবং ডাম্পিং স্টেশন থেকে চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহ করেন। কারখানায় বর্জ্য প্রক্রিয়া করে তিনি বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেন।
চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার প্রতিনিধি জানান, তারা চিকিৎসা বর্জ্য মিশ্রিত সাধারণ বর্জ্য সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং সাইটে অপসারণ করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম নগরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী এসব সংক্রামক বর্জ্য উপযুক্ত ইনসিনারেটরের মাধ্যমে বিনষ্ট করতে হবে। চট্টগ্রাম শহরের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ এবং নষ্টের ঠিকাদারি পেয়েছে চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্বে অবহেলা করেছে।
চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার ব্যবস্থাপক মো. ইসমাইল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা শতভাগ চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ এবং ধ্বংস করছি। ওই ভাঙ্গারির দোকানদার কোথায় থেকে চিকিৎসা বর্জ্য এনেছে আমাদের জানা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা করেছে।
অন্যদিকে, একইদিনে পাহাড় কাটার অভিযোগে আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।