নদী না থাকলে আমরা বাঁচব না: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

By নিজস্ব সংবাদদাতা, দিনাজপুর
18 November 2021, 13:36 PM

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও রিভারাইন পিপলের আয়োজনে ১৮ নভেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত হলো নীলফামারী জেলা নদী সংলাপ ২০২১। নীলফামারীর বুড়িখোড়া-কলমদার নদীর পাড়ে আলোরবাজারে 'চলো নদীর কথা শুনি' শ্লোগান নিয়ে প্রকৃতি-পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই সংলাপ হয়।

বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে সংলাপে মুখ্য আলোচক ছিলেন রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডোমার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীলফামারী ও রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, নীলফামারী জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আমিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দেওনাই (হরিনচড়া-লক্ষ্মীচাপ) নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও নীলফামারী জেলা নদী সুরক্ষা কমিটির সমন্বয়ক আবদুল ওয়াদুদ। বেলার উত্তরাঞ্চল সমন্বয়ক তন্ময় সান্যাল অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নীলফামারীর নদীর অবস্থা সম্পর্কে যতটা ভালো শুনে এসেছিলাম ততটা ভালো নয়। নদী নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করার সময়ে নদী পাড়ের মানুষের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। নদী, জীববৈচিত্র্য পরিবেশ এর ক্ষতি করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত নয়। আমার কাছে যদি কোটি কোটি টাকা থাকে আর নদী না থাকে আমরা বাঁচব না।

অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, নদী রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের করণীয় আছে। কোথাও নদী দখল-দূষণ হলে স্থানীয়দের ভূমিকা রাখতে হবে। সেজন্য নদী রক্ষায় সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজন আছে।

সংলাপে অংশ নেন দেওনাই, শালকি, চেকাডারা, খড়খড়িয়া, যমুনেশ্বরী, কলমদার-বুড়িখোড়া, দেওনাই (হরিণচড়া-লক্ষ্মীচাপ) এই সাতটি নদী সুরক্ষা কমিটির সদস্যগণ।